কুকুরের মাংসের বিরিয়ানি বিক্রি হতো ৪০ টাকায়
খুলনা: খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে কুকুর জবাই করে তার মাংস গরু বা খাসি বলে চালিয়ে আসছিল একটি চক্র। কুকুরের সেই মাংস দিয়ে বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় তৈরি হচ্ছিল বিরিয়ানি, বার্গার, গ্রিলসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার।
পুলিশের গোপন অভিযানে খুলনা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পরিত্যক্ত একটি ভবন থেকে কুকুরের মাংস বিক্রি চক্রের মূলহোতাসহ চার সদস্যকে হাতেনাতে আটক করা হয়। ওই ভবনটি থেকে অনেকগুলো কুকুরের চামড়া ও হাড় উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন ডলার হাউজ মোড় এলাকার লিংকন হাওলাদারের ছেলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র তাজ (১৬), একই থানার বঙ্গবাসী মোড় এলাকার নর্থ জোন -২৩ এর হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. আবু সাইদ (৩৭), ২ নং নেভি গেট এলাকার কুতুব আলীর ছেলে মো. সিয়াম (১৬) এবং দিঘলিয়া থানাধীন চরের হাট এলাকার শোভন সরদারের ছেলে প্রেম সরদার (১৬)।
কোথায় বিক্রি হতো কুকুরের মাংসের বিরিয়ানি: অনুসন্ধানেতে জানা গেছে, মহানগরীর খালিশপুর, দৌলতপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে ৩০, ৪০ ও ৬০ টাকায় প্যাকেট বিরিয়ানি বিক্রি করতো এ চক্রটি। এছাড়া তারা অনেক ছোট ছোট হোটেল রেস্টুরেন্টে এ বিরিয়ানি বিক্রি করতো। কিন্তু গরু-খাসির এই বিরিয়ানি এত কম দামে বিক্রি হয় কীভাবে তা এই চক্রটি আটক হওয়ার পর জানতে পেরে আঁৎকে ওঠেন সবাই। গরু-খাসির বিরিয়ানি বলে যা বিক্রি হচ্ছে, তা রান্না হতো কুকুরের মাংস দিয়ে। কুকুরের মাংসের বিরিয়ানি বিক্রি হতো এমন খবর সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর চলছে তুমুল আলোচনা ও নিন্দার ঝড়।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ভ্রাম্যমাণ ও ছোট ছোট হোটেলে চক্রটি কুকুরের মাংসের বিরিয়ানি সরবরাহ করতো। সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষ কম খরচে এসব হোটেল থেকে বিরিয়ানি খেত। সম্প্রতি নগরীতে ইজিবাইকে করে খালিশপুর এলাকার আবু সাঈদ ৩০ টাকা প্যাকেট মূল্যে ভ্রাম্যমাণ বিরিয়ানি বিক্রি করছিল। তার সূত্র ধরেই কুকুরের মাংস বিক্রি চক্রকে আটক করা হয়। বিরিয়ানি বিক্রেতা বঙ্গবাসীর আবু সাঈদকেও আটক করা হয়েছে। আটকের পর তাদের পরিবারের কেউ থানায় আসেনি। আটকদের বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।