কোটা আন্দোলন: যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আকাশ
নগরের মুরাদপুর এলাকায় গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয় গ্যারেজ মিস্ত্রি মো. এনামের সন্তান আকাশ। ১৮ বছরের এই ছেলে ১০দিন ধরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
নগরের আতুরার ডিপো এলাকার বাসিন্দা গ্যারেজ মিস্ত্রি এনামের আয় দিয়ে চলে চার সদস্যের পরিবার। বাবাকে সহায়তার আশায় মুরাদপুরে একটি গ্যারেজে কাজ শিখছিল আকাশ। মো. এনাম বলেন, আকাশের অপারেশনের জন্য ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছি। সঙ্গে আছে ওষুধের দাম। ছেলে কখন সুস্থ হয়ে উঠবে-জানি না।
প্রতিদিনের মতো সেদিনও বাসা থেকে দুপুরে ভাত খেয়ে কাজে যাওয়ার সময় মুরাদপুরে রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয় আকাশ। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে ছেলের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মা পারভীন আক্তার। আকাশের বড় বোন শারমিন আক্তার বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ভাই গ্যারেজে কাজ শিখছিল। এখন হাসপাতালে পড়ে আছে। কথাও বলতে পারছে না। মুখে খাবার দিতে ডাক্তারদের নিষেধ আছে। কেউ আর্থিক সাহায্য করেনি। এভাবে কতদিন থাকতে হবে- জানি না।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, সহিংসতার ঘটনায় দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এখন চিকিৎসাধীন আছেন ১৬ জন। আহতদের সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকরা চেষ্টা চালাচ্ছেন।