চট্টগ্রামপার্বত্য চট্টগ্রাম

খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে মা-ছেলে পুড়ে ছাই

খাগড়াছড়িতে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টিতে দোকান, বসতঘরসহ বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসময় পৃথক বজ্রপাতে ৩ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দীঘিলানায় পুড়ে অঙ্গার হয় এক মা ও তার সঙ্গে থাকা আট বছরের শিশুপুত্র। পৃথক বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ২টি গবাদিপশুরও। এছাড়া ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসল ও মৌসুমী ফলমূলের।

রবিবার (৫ মে) ভোররাতে জেলার রামগড় ও দীঘিনালা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামের হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়া (৮) এবং রামগড় ১নং ইউনিয়নের দুর্ঘম হাজাছড়া এলাকার কংজ্র মারমার ছেলে গনজ মারমা (৫০)।

জানা গেছে, রবিবার ভোর পাঁচটার দিকে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে একটি টিনের ঘরে বজ্রপাত হয়। এসময় বজ্রপাত থেকে আগুন লেগে হাসিনা বেগম ও তার ছেলে হানিফ মিয়া মারা যায়।

মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি বলেন, বজ্রপাতে টিনের ঘর পুড়ে মা ও ছেলের শরীর অঙ্গার হয়ে গেছে। ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থালে গিয়ে আগুন নিভিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ এসে মরদেহ দুটি থানায় নিয়ে যায়।

দীঘিনালা থানার ওসি মো. নুরুল হক বলেন, ব্রজপাতে ঘরে আগুন লেগে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ থানায় রাখা আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

অপরদিকে, রামগড় উপজেলার ১নং ইউনিয়নের দুর্ঘম হাজাছড়া এলাকায় বজ্রপাতে গনজ মারমা মারা যান। এসময় তার ২টি গবাদিপশুরও মৃত্যু হয়েছে।

হাজাছড়া পাড়া কার্বারী চাইলাপ্রু মারমা জানান, বজ্রপাতের সময় বাড়ির উঠানে বাঁধা গরু গোয়ালঘরে আনতে গিয়ে বজ্রপাতে গরুসহ তার মৃত্যু হয়েছে।

রামগড় থানার ওসি দেব প্রিয় দাস বলেন, ব্রজপাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d