খৎনার সময় এবার শিশুর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খৎনা করার সময় আল নাহিয়ান তানভীর (৮) নামে এক শিশুর পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে শিশুটির পরিবার।
ভুক্তভোগী শিশু আল নাহিয়ান তানভীর উপজেলার ৪নং চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আলমগীরের ছেলে। বর্তমানে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে শিশু তানভীরকে খৎনা করাতে তার পরিবারের লোকজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তখন সেখানে মেডিকেল অফিসার এবং উপসহকারী মেডিকেল অফিসার উপস্থিত ছিলেন না। সৌরভ নামে এক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট (শিক্ষানবিশ) শিশুটির খৎনা করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে ফেলেন।
এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটির স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং সৌরভকে চড়থাপ্পড় মারেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম ও উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আবু নাছেরসহ জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা অন্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ভুক্তভোগী শিশু তানভীরের বাবা আলমগীর বলেন, আমরা শিশুকে খৎনা করাতে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আসছে বলে সৌরভ নিজেই খৎনা করায়। এতে আমার ছেলের পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে যায়। অতিরিক্ত রক্তপাতে আমরা ভয় পেয়ে যাই এবং সৌরভকে আটকে রাখি। বর্তমানে চিকিৎসকরা শঙ্কামুক্ত বললেও আমরা আমরা শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। আমি সৌরভের শাস্তি দাবি করছি।