রাজনীতি

গণ অধিকার পরিষদের রেজা অংশের নেতাদের ইসিতে হট্টগোল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের (জিওপি) নিবন্ধন প্রাপ্তির পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসে রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের নেতারা হট্টগোল বাঁধিয়েছেন।

এমনকি ইসি সচিবের দপ্তরের বাইরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন নির্বাচন ভবনে দায়িত্বরত ২৯ ব্রিগেডের সেনা সদস্যরা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নুরের দল নিবন্ধন পাওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পরেই গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে বেশকিছু নেতাকর্মী নির্বাচন ভবনে আসেন। এরপর তারা ইসির সচিবের দপ্তরেও প্রবেশ করেন। সেখানে অযৌক্তিকভাবে আজকের মধ্যেই নিবন্ধন দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন, যে ঘটনাকে ‘সীমা অতিক্রম’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে ইসি সচিব শফিউল আজিম।

তিনি বলেন, ঠিক অবরুদ্ধ নয়, অনেকটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। একজনের আচরণ লিমিট ক্রস করেছে। বিষয়টি আমরা সরকারকেও জানিয়েছি। এভাবে তো হয় না। আমরা বলেছি একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু সেটা তারা মানতে নারাজ।

২০২১ সালে নুরুল হক নুর ও তার সমমনারা গণ অধিকার পরিষদ গঠন করেছিলেন। এতে আহ্বায়ক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া। তবে ২০২৩ সালের জুনে এসে দলটি দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে তারা নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদনও করে। সেই প্রক্রিয়ার মধ্যেই দুই শীর্ষ নেতা নুর ও রেজা পরস্পরকে বহিষ্কার করেন। এতে দলটির নেতৃত্ব ও কার্যালয় নিয়ে প্রশ্ন উঠলে নিবন্ধন তালিকা থেকে শেষ পর্যায়ে এসে বাদ পড়ে গণ অধিকার পরিষদ।

এরপর কাউন্সিল করে নুরের অংশ কমিটি গঠন করে ইসিতে নথি জমা দেয়। এবং দুই দফায় পুনর্বিবিচেনার আবেদন করে অবশেষে নিবন্ধন পায় গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি)। আর এই খবর রটে যাওয়ার পরই ইসিতে আসে রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন অংশটিও। অবশ্য তারা সন্ধ্যার পরে চলে যায়।

ইসিতে বর্তমানে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৪৭টি। রেজা কিবরিয়ার দল পেলে হবে ৪৮টি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d