আন্তর্জাতিক

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক কারণে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

এ সময় জাতিসংঘের মহাসচিব ইসরায়েলের আশদোদ বন্দর হয়ে ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা আবার চালু করার দাবি জানান।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, আমাদের (জাতিসংঘে সহায়তাকারীদের) গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রবেশাধিকার দরকার।

তিনি জানান, জানুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে গাজার উত্তরাঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌছে দেওয়ার ২৯টি অভিযান (মিশন) পরিচালনার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর মধ্যে মাত্র সাতটি সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক শেষ হয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, সামরিক অভিযানের সময় আটক ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্যরা অমানবিক আচরণ করেছেন। এমন প্রতিবেদন আমাকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েল সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জনের প্রাণ গেছে। বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ। হামাসের হাতে জিম্মি হন ২৪০ জন।

হামাসের হামলার জবাবে একই দিন ফিলিস্তিনের গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তিন মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা চলছে। হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে গাজায় ২৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১৯ লাখের বেশি মানুষ।

গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। সে সময় প্রায় ১০০ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারগুলোয় আগে থেকে আটক কয়েক শ ফিলিস্তিনি মুক্তি পান।

ইসরায়েলের অভিযোগ, ৭ অক্টোবরের হামলার সময় ‘যুদ্ধাপরাধ’ করেছেন হামাস সদস্যরা। তাঁরা নির্যাতন, ধর্ষণ ও অঙ্গহানি করেছে। তবে হামাসের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

অন্যদিকে গাজায় চলমান হামলা এবং প্রাণহানির ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানি চলছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d