গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছেই, একদিনে নিহত ৬৪
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে হামলা জোরদার করেছে দখলদার ইসরায়েল। এতে একদিনে আরও ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। খবর আল জাজিরার।
শনিবারের হামলায় ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক ভবনে হামলায় ২৮ জন নিহত হয়েছেন। আরও হয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ। উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রের গেটে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের একটি দলকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণে ১২ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে ফালুজাতে পানির জন্য সারিবদ্ধ একদল লোকের ওপর কামানের হামলায় আটজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। মধ্যগাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের একটি বাড়িতে হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। খান ইউনিসের পূর্বে আবসান আল-কাবিরা শহরের আল-ফারহিন এলাকায় হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
দক্ষিণ গাজার মধ্য রাফাহ শহরের বাড়িতে অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া উত্তর-পশ্চিম রাফাহতে একটি গাড়িতে ড্রোন হামলায় একজন নিহত হয়েছেন।
গত বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় হামাস। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এ গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েল বড় ধরনের স্থল অভিযান চালালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।
এমন হুঁশিয়ারির জবাবে পরদিন যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্দেশ করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, কোনো ধরনের চাপই ইসরাইলকে গাজা গণহত্যা ও চলমান যুদ্ধে লক্ষ্য অর্জনে বাধা দিতে পারবে না। প্রয়োজনে ইসরায়েল একা দাঁড়াবে। এমন অবস্থার মধ্যেই রাফাহ অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এর ফলে গত ৬ মে থেকে রাফার ছয় লাখেও বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা গাজার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ।’