গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও অধরা বাঁশখালীর এক চেয়ারম্যান
বাঁশখালীর কাথরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইবনে আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। গত ১২ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও চেয়ারম্যান ইবনে আমিন নিয়মিত অফিস করছেন, সবখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল কাথরিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে তাঁর লোকজন নিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেন কাথরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইবনে আমিন।
এ ঘটনায় ১৮ মে কাথারিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওবায়দুল্লাহ বাদী হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইবনে আমিন, আবদুল মান্নান, মো. নাছির উদ্দিনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআই উপ-পরিদর্শক রুস্তম আলীকে।
পিবিআই উপ-পরিদর্শক রুস্তম আলী বলেন, দীর্ঘ তদন্ত শেষে চেয়ারম্যান ইবনে আমিনের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছি।
আদালত সুত্রে জানা যায়, পুলিশের প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের পর চেয়ারম্যান ইবনে আমিন আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১২ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বেগম নাজমুন নাহার।
কাথরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইবনে আমিন বলেন, মামলা হওয়ার পর পিবিআই টিম যখন মামলা তদন্তে আসে তখন আমি প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির কাছে সেদিনের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মীমাংসার কথা বলেছি। এলাকায় আমার কিছু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের যোগসাজশে ওই মামলায় আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন তারা।
কাথারিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিদায় অনুষ্ঠানে অতিথি না করার অজুহাতে চেয়ারম্যান ইবনে আমিন তার দলবল নিয়ে স্কুলের প্রধান ফটক এবং ক্লাসরুমে তালা মেরে দেন। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে আদালত ওই মামলায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এখানে আমাদের করার কিছু নাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট কপি এখনোও আমার কাছে আসেনি। কপি হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।