পার্বত্য চট্টগ্রাম

ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে সে দেশের সেনা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লাগাতার যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৬ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর থেকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্দেশের স্থানীয় লোকজনদের সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

ঘুমধুম ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনে (৪,৫,৬) মহিলা সদস্য খালেদা বেগম জানান, সীমান্তের পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় স্থানীয় লোকজনদের মাইকিং করে সরে যেতে বলা হচ্ছে। তবে গতকাল সোমবার থেকে স্থানীয় লোকজন কক্সবাজার ও ঘুমধুম এলাকায় যার যার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এখন ঘরে ঘরে দুয়েকজন করে পুরুষরা রয়েছে।

‘যারা এখনও ঘরে রয়েছে তারাও বাইরে বের হচ্ছে না। বাজারে দোকানপাটগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। রাস্তায় আগের মত লোকজনের চলাচল নাই বললে চললে। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে শুনেছি কিন্তু কোথায় এবং কোনো প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে করা হয়েছে আমি এখনও জানি না। তবে লোকজন যার যার আত্মীয়স্বজরে বাড়িতে যাচ্ছে বেশি।’

ঘুমধুম ইউনিয়নের সচিব এরশাদ উল্লাহ হক সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি থেমে নাই। ঘুমধুম ইউনিয়নের একেবারে সীমান্তঘেঁষা বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে। সীমান্তঘেঁষা গ্রামগুলো হল তুমব্রু কোনার পাড়া, তুমব্রু মাঝের পাড়া, ভাজাবনিয়া পাড়া, তুমব্রু বাজার পাড়া, তুমব্রু চাকমা হেডম্যান পাড়া, তুমব্রু পশ্চিমকুল পাড়া, ঘুমধুম নয়াপড়া, ঘুমধুম পূর্বপাড়া এবং ঘুমধুম মধ্যম পাড়া।

মূলত এসব পাড়ার বাসিন্দাদের মাইকিং করে সরে যেতে বলা হচ্ছে। এসব পাড়াগুলোর মধ্যে আনুমানিক ২৪০ পরিবারে মত রয়েছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি, আশ্রয় নেওয়া লোকজনদের খাবার ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার দুই জেলা প্রশাসক ও দুই জেলা পুলিশ সুপার উপস্থিতিতে বিকেলে একটা সভা হওয়ার কথা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d