ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে ৬০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপজনিত আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় চট্টগ্রাম মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে ৬০৯টি (মহানগর ১১৬টি ও জেলা ৪৯৩টি) আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রস্তুত রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
সভায় জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ উপজেলা পর্যায়ে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও নগদ অর্থের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে মর্মে মতামত প্রদান করেন।
এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও যেমন কারিতাস, ব্র্যাক, ব্যুরো বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় তাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে বলে জানায়।
সভায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জরুরি সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও সিটি কর্পোরেশনে কন্ট্রোল রুম খোলা, উপজেলা পর্যায়ে দ্রুত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আয়োজন, স্ব স্ব এসওপি অনুযায়ী সকল দপ্তরের কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
এছাড়া বিভিন্ন এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যমকে দুর্যোগ মোকাবেলায় অংশগ্রহণ, উপকূলবর্তী ও পাহাড়ি এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং কার্যক্রম চলমান রাখা, যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার সাথে ও জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের নাম্বারে যোগাযোগ করার বিষয়েও নির্দেশনা দেন।
সভায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জেলার ত্রাণসামগ্রী মজুদ পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বর্তমানে জেলা প্রশাসনের কাছে ত্রাণের জন্য নগদ ২২,৩০,০০০ টাকা, ত্রাণের চাল আছে ২৪৪ মেট্রিক টন, গো-খাদ্য আছে ৬,৮০,০০০ টাকার, শিশু খাদ্য ৬,৮০,০০০ টাকার, শুকনো খাবার ৪৭২ ব্যাগ, কম্বল ১০০০ পিস এবং ওরস্যালাইন ৪৭,০০০টি প্যাকেট মজুদ আছে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি পর্যালোচনাক্রমে প্রয়োজনের নিরিখে এসব সামগ্রী দ্রুত বরাদ্দ দেওয়া হবে।