ঘূর্ণিঝড় রিমালে ১ লাখ ৭১ হাজার হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। এ ঘূর্ণিঝড়ে এক লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে।
বরিশালে এক লাখ ৭৩ হাজার ৪৯১ কৃষক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
অধিদপ্তরের প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, ৪৮টি জেলার কৃষিতে রিমালের প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৩টি জেলা। উল্লেখযোগ্য হারে আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত বরিশাল অঞ্চলের ছয়টি জেলা (বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা), খুলনা অঞ্চলের চারটি জেলা (খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও নড়াইল) এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের তিন জেলা (নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার)।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ফসলি জমি প্রায় ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৫ হেক্টর। এর মধ্যে আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর। ১০ হাজার ৮৪৩ হেক্টর আউশ বীজতলা, ২১ হাজার ৪৩৪ হেক্টর আউশ জমি, সাত হাজার ৭৩০ হেক্টর বোরো ধান, চার হাজার ৮২৬ হেক্টর বোনা আমন, ৫২ হাজার ১৯০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি, ২৯ হাজার ৭৪৯ হেক্টর পাট, সাত হাজার ৫৩৬ হেক্টর তিল, তিন হাজার ৫০৭ হেক্টর মুগ, দুই হাজার ৪৪৪ হেক্টর মরিচ ক্ষতির শিকার। পাশাপাশি সাত হাজার ৫৮ হেক্টর জমির পান ক্ষতির শিকার হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফলের মধ্যে চার হাজার ৭০৮ হেক্টর আম, এক হাজার ৫৭৫ হেক্টর লিচু, সাত হাজার ৬১৩ হেক্টর কলাসহ মোট ১৭ হাজার ৫৪৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফল দুর্যোগ কবলিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বরিশাল অঞ্চলে ৯ হাজার ১০১ হেক্টর আউশ বীজতলা, ১৭ হাজার ৯০ হেক্টর আউশ, দুই হাজার ৪১৯ হেক্টর মুগ, ১৭ হাজার ২৪৭ হেক্টর শাকসবজি, তিন হাজার ৪৭৩ হেক্টর জমির পানসহ মোট ৫৪ হাজার ৫৬৪ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল দুর্যোগের শিকার। প্রাথমিকভাবে আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০ হাজার ৮৯৭ দশমিক ৭২০ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক প্রায় এক লাখ ৭৩ হাজার ৪৯১ জন। বরিশাল অঞ্চলের ন্যায় অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলমান।