ঘেরের বাঁধ কেটে দেড় কোটি টাকার মাছ লুটের ঘটনায় মামলা
বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের মেনিপাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘেরের বাঁধ কেটে দেড় কোটি টাকার মাছ লুট ও বসতবাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রোববার (১১ আগস্ট) সকালে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫২ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক তদন্তের প্রয়োজনে আসামিদের যে কাউকে গ্রেপ্তার এবং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মেনিপাড়া গ্রামের সোহরাব হাওলাদারের ছেলে সোহেল রানা তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৭ একর জমিতে ৫ বছর আগে মাছের ঘের করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। দেড় বছর আগে একই গ্রামের আব্দুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে আল-আমিন মৃধা জমি তাদের দাবি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।
বর্তমানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সময় পুলিশ বাহিনীর কর্মবিরতি পালনের সুযোগে আকস্মিক শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই জমি দখলে নেওয়ার জন্য আলামিন মৃধার নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি বাহিনী দুটি ভেকু (এস্কেভেটর) মেশিন দিয়ে ঘেরের বাঁধ কেটে ও সরকারি রাস্তায় নির্মিত একটি কালভার্ট ভেঙে পানি সেচ দিয়ে প্রায় শতাধিক মণ মাছ লুট করে নিয়ে যায় এবং ঘেরের পাশে নির্মিত একটি বসতঘরে হামলা করে ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় ঘেরের মালিক সোহেল রানা বাদী হয়ে রোববার সকালে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘেরের মাছ লুটের অভিযোগ এনে আলামিন মৃধাকে প্রধান আসামি করে ৫২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক আরিফুর রহমান তদন্তের প্রয়োজনে ৫২ জনের যে কাউকে গ্রেপ্তার করে আগামী ২ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
তালতলী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, আদালতের আদেশের কাগজ এখনো হাতে পাইনি। কাগজ পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।