চট্টগ্রামের ২৬৭ পরিবারকে জমিসহ প্রধানমন্ত্রীর ঘর হস্তান্তর
চট্টগ্রাম জেলায় চতুর্থ পর্যায়ের অবশিষ্ট ও পঞ্চম পর্যায়ের আরো ২৬৭ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেয়েছেন জমিসহ প্রধানমন্ত্রীর ঘর। এর মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় ৮৬টি, চন্দনাইশে ৩৫টি, বাঁশখালীতে ৪৬টি ও চন্দনাইশ উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণ রয়েছে ১০০টি।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।
এ সময় জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. ইসমাইল খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা, জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, মহানগর ইউনিট কমান্ডের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুর উদ্দিনসহ বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।
এ নিয়ে ১ম পর্যায়ে ১৪৪৪টি, ২য় পর্যায়ে ৬৪৯টি, ৩য় পর্যায়ে ১৬২টি, ৪র্থ পর্যায়ে ১১৩৭টি, ৪র্থ পর্যায়ের অবশিষ্ট ৮৬টি, ৫ম পর্যায়ে ৮১টি ও জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণ ১০০টিসহ সর্বমোট ৫৪৫৯টি পরিবার জমিসহ ঘর পাওয়ার তালিকায় যুক্ত হলেন। এদিকে একই দিন প্রধানমন্ত্রী বাঁশখালী, ফটিকছড়ি এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।
এর আগে চট্টগ্রাম জেলার ৮টি উপজেলা যথাক্রমে পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, রাউজান, বোয়ালখালী, আনোয়ারা এবং হাটহাজারী উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, মীরসরাই এবং চন্দনাইশ উপজেলা ব্যতীত অবশিষ্ট ১১টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হবে।