চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে অটিজমে আক্রান্ত শিশুর থেরাপিস্ট ও স্কুলের সংখ্যা অপ্রতুল

নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরী বলেছেন, ইউএস সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী প্রতি ৩৬ জন আমেরিকান শিশুর মধ্যে ১ জনের অটিজম আছে এবং আমাদের দেশে প্রতি ১,০০০ জনে ১ হতে ৩ জন শিশু অটিজম বৈশিষ্ট সম্পন্ন। এছাড়া মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের অটিজম হয়ে থাকে ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি।

সম্মিলিতভাবে যত শিশুর ডায়াবেটিস, এইডস, ক্যান্সার, সেরিব্রাল পালসি, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, মাসকুলার ডিসট্রফি এবং ডাউন সিন্ড্রোম হয়ে থাকে তার চেয়ে অটিজমের সংখ্যাই বেশি। প্রতি বছর আমেরিকায় ২ মিলিয়ন লোকের মধ্যে এএসডি (অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার) দেখা যায় এবং সারা বিশ্বে ১০ মিলিয়নের মত শিশু অটিজমে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

সোমবার (১ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, অটিজম নিয়ে চট্টগ্রামে থেরাপিস্ট এবং বিশেষায়িত স্কুলের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এবং পেশাগত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় শিক্ষিত ছাত্র-ছাত্রীরা এই বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত না হওয়ায় এ বিষয়ে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতিও হচ্ছে না। প্রতিটি অটিজম শিশুর আচরণ সতন্ত্র হওয়ার কারণে তাদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা ভিন্ন। তাই ১:১ বা ক্ষেত্র বিশেষে ১:২ ব্যবস্থায় দ্রুত অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়। বিশেষায়িত শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যা অভিভাবকরা পরিবারের অনান্য স্বাভাবিক সন্তানের লেখাপড়ার পাশাপাশি অটিজম শিশুর জন্য অতিরিক্ত ব্যয়ভার বহনে অক্ষমতার কারণে এবং পরিচালন ব্যয় বেশি হওয়ায় যথাযথভাবে স্কুলগুলো পরিচালনা অত্যন্ত কঠিন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক টিংকু চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি, মো. রোসাঙ্গীর বাচ্চু, নির্বাহী সভাপতি খোরশেদুল আলম কাদেরী, অর্থ সম্পাদক আশুতোষ দে, প্রশিক্ষণ ও সেমিনার সম্পাদক ড. সুদীপ পাল, নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, প্রদীপ চক্রবর্তী, মো. জমির হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d