চট্টগ্রামে অতিভারি বৃষ্টির আভাস, পাহাড় ধসের শঙ্কা
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর অগ্রভাগের মেঘে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। এটি ক্রমেই বাংলাদেশের স্থলভাগের কাছাকাছি চলে আসছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় তিন বিভাগসহ ঢাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮. মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিমি) থেকে অতিভারী (২৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ উপকূলের কাছাকাঠি চলে আসায় পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপৎ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার থেকেই উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়ও। সোমবার ঢাকায় দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।