চট্টগ্রামে গ্যাসের সংকট এখনো কাটেনি
নাকাল অবস্থা থেকে নগরবাসী রেহাই পেলেও এখনো সংকট কাটেনি গ্যাসের। দৈনিক ৩১২ মিলিয়ন থেকে ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চাহিদা চট্টগ্রামে, মিলছে ২০০ মিলি ঘনফুট। আবাসিক গ্রাহকদের প্রাধান্য দেওয়ায় এই সংকটে ভোগান্তি চোখে পড়ার মতো নয়।
তবে আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
কেজিডিসিএল থেকে জানা যায়, গতকাল ১২০ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ ছিল চট্টগ্রামে। পরে রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল থেকে মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে ২০০ মিলি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে, ৪০ মিলি ঘনফুট দেওয়া হচ্ছে আবাসিক গ্রাহকদের। ১০০ মিলি ঘনফুট চট্টগ্রামের দুই সার কারখানায়। ৩৭ মিলি ঘনফুট শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে।
কেজিডিসিএল এর মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আমিনুর রহমান সিভয়েসকে বলেন, দৈনিক ৩১২ মিলিয়ন থেকে ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চাহিদা থাকে চট্টগ্রামে। তবে চট্টগ্রাম আজকে থেকে গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে ২০০ মিলি ঘনফুট। ফলে আবাসিক গ্রাহকদের ভোগান্তি প্রাধান্য বেশি দেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল থেকে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহককে ধৈর্য ধরতে হবে। এলপিজির পরিধি বিস্তৃত করা হচ্ছে। গাড়িতে ও এলপিজি ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতি মাসে বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। সবাই ধৈর্য ধরেন, অচিরেই বাসাবাড়ির গ্যাস ঠিক করা হবে। সব গ্রাহক যাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পায়, সেটা নিশ্চিত করতেই সরকার কাজ করছে।