চট্টগ্রামে ঘর গোছানোয় মনোযোগ বিএনপির
চট্টগ্রামে ছোট ছোট আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে ঘর গোছাতে চায় বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনড় থাকা দলটি ৫ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এ নিয়ে আন্দোলনে থাকা দলটির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নির্বাচনের আগে ও পরে মামলার শিকার হন। গ্রেপ্তারও হন অনেকে। এরমধ্যে নির্বাচনের পর বেশ কিছু নেতাকর্মী উচ্চ আদালত ও নি¤œ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে আসেন। তারপরও এখনো কারাগারে রয়ে গেছেন অনেক নেতাকর্মী। তাদের জামিনের প্রক্রিয়াও অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় আন্দোলনের মাধ্যমে ঘর গোছানোর পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে চায় দলটি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে সরকারের পদত্যাগ, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, ভারত বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদে বিএনপি সারাদেশে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, দোয়া মাহফিল, সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এর আগে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পরও আন্দোলনের অংশ হিসেবে কয়েক দফা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে দলটি। কেন্দ্র ঘোষিত এসব কর্মসূচি সারাদেশের মহানগর, জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে পালিত হচ্ছে।
বিএনপির একটি সূত্র বলছে, মূলত মামলা-গ্রেপ্তারে জর্জরিত দলকে গোছাতে এসব কর্মসূচি দিচ্ছে বিএনপি। তাতে দলের নেতাকর্মীর মধ্যে হতাশা কেটে চাঙ্গা ভাব আসবে বলে মনে করে দলটি।
এ প্রসঙ্গে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে মহানগরে বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৫৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি হয়েছেন প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মী। এদের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হন। তাদের মধ্যে বেশ কিছু নেতাকর্মী ইতোমধ্যে জামিনে বের হলেও এখনো কারাগারে রয়ে গেছেন অনেকে। এ অবস্থায় কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের জামিনে বের করার পাশাপাশি মাঠে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে বিএনপি।’
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে শ’খানেক মামলা রয়েছে। অন্যান্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও অসংখ্য মামলা রয়েছে। দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী এসব মামলা মোকাবেলার পাশাপাশি মাঠে আন্দোলনে সক্রিয় রয়েছেন।’
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ আবু সুফিয়ান দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে দক্ষিণ জেলার ৮ উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি হয়েছেন দলের তিন হাজার নেতাকর্মী, গ্রেপ্তার হয়েছে তিন শতাধিক। কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের জামিনে ছাড়িয়ে আনার কাজ করছি। একই সাথে দলের আন্দোলন-সংগ্রাম কর্মসূচিতে মাঠে রয়েছি।’