চট্টগ্রামে দুই শিক্ষাবিদের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন
বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী এবং চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব প্রফেসর আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারা মামলা প্রত্যাহার করে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনারও দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট এবং গণঅধিকার চর্চা কেন্দ্র চট্টগ্রাম শাখা যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেবনাথের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের পুনঃনিরীক্ষণ ইস্যুতে তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সাইবার আদালতে এই মামলা করেছিলেন নারায়ণ চন্দ্র নাথের স্ত্রী বনশ্রী নাথ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সচিবের ছেলের পরীক্ষার ফলাফলের পুনঃনিরীক্ষণ রহস্য ও ফলাফল কেলেঙ্কারি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের সুবাদে জনমনে বিভিন্ন প্রকার সন্দেহ, ক্ষোভ ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতির নজিরবিহীন এসব ঘটনা নিয়ে জনমানসে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। এসব ঘটনাকে পাশ কাটাতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব নারায়ন চন্দ্র তার স্ত্রীকে দিয়ে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আরেকজন খ্যাতিমান শিক্ষাবিদকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। এটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষাবিদের প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি চরম অবমাননাকর, আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ টিএম সরোয়ার কামাল দুলু, মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্টের মহাসচিব ফাহিম উদ্দিন, ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. শাহা আলম ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাফফর আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবু তৈয়ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ ইউনুস, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক মহসিন কাজী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এবং পেশাজীবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
এদিকে রেফারেন্স নম্বর শিক্ষা বোর্ডের একটি চক্র ব্যবহার করেছে এবং তদন্ত করে বের করতে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর কোতোয়ালী থানায় একটি জিডি করেছেন আবদুল আলীম।