চট্টগ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, যুবলীগ নেতা আটক
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. সেলিম উদ্দিন চৌধুরী নামে এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১০ মার্চ) রাতে বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয় তাকে।
আটক হওয়া সেলিম উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বাঁশখালীর আলোচিত সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৯ মার্চ) বাহারছড়া ইউনিয়নের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মো. রেজাউল করিম প্রকাশ ইউনুছ মুনসি সিএনজি প্রতীকে নির্বাচিত হন। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আরেক যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরী খোকনের সমর্থক জালাল উদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে হামলা চালান সেলিম। সেলিম বিজয়ী প্রার্থী রেজাউলের সমর্থক। নির্বাচনের পরদিন রোববার সকালে সেলিম ধারালো কিরিচ নিয়ে পরাজিত প্রার্থী শিক্ষক জালালের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী ও সন্তানকে মারধর করেন এবং বাড়িঘরে হামলা চালান। পরে থানা পুলিশ গিয়ে সেলিমকে আটক করে।
হামলার শিকার শিক্ষক জালাল উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের পরের দিন সেলিম উদ্দিন, মোরশেদুল আলমসহ ২০-৫০ জন দা কিরিচ ও লাঠিসোটা নিয়ে গালাগালি করতে করতে আমার বাড়ির গেইট ভেঙে ঢুকে যায়। এসময় বাড়ির বাইরে আমার বড় ছেলে হাসনাইন খেলা করছিল। তখন তাকেও লাথি মারে ওরা। আমার স্ত্রী তাদের ঘরে ঢুকতে বাঁধা দিলে তাকেও লাথি ও কিলঘুষি মারে। পরে বাড়িতে ঢুকে ঘরের জিনিসপত্র নষ্ট করে এবং আলমারিতে রক্ষিত স্বর্ণ ও দামি মালামাল নিয়ে বেরিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। থানায় অবহিত করেছি।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমদ বলেন, বাহারছড়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আনারস প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী খোকনের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করেছে। এই হামলার অভিযোগে সেলিমকে আটক করা হয়েছে।