চট্টগ্রামনগরজুড়ে

চট্টগ্রামে পাঁচটি মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার, আটক ৩

এবার পাচারকালে নগরীর বাকলিয়া নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে বিরল প্রজাতির পাঁচটি মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তিন পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।

এরা হলেন কক্সবাজারের চকরিয়ার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো. সেলিম (৫৩), একই এলাকার ফয়েজ আহম্মদের ছেলে নুরুল কবির (৩১) ও মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের বালিয়াছড়ি এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে সালাউদ্দিন কাদের (৩৫) প্রকাশ হেলাল উদ্দিন।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর বান্দরবানের আলীকদম থেকে আনা দুটি বিলুপ্তপ্রায় হগ ব্যাজার (গোরখোদক) উদ্ধার করে বাকলিয়া পুলিশ। একইসাথে ২ জনকে গ্রেপ্তার হয়। গোরখোদক দুটি ইতিমধ্যে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেগুলো আজ সকালে অবমুক্ত করার উদ্দেশ্যে চুনতী অভয়ারণ্যে নেওয়া হয়েছে।

বাকলিয়ার ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রহিম একুশে পত্রিকাকে বলেন, হনুমানসহ আটক মো. সেলিম এর গত ২৪ মে বাঁশখালী থানায় চারটি ধনেশ পাখিসহ গ্রেপ্তার হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়। ১ মাস ২ দিন জেলহাতজে থাকার পর জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে আবারও একই কাজে জড়িয়ে পড়েন। উদ্ধার করা হনুমানগুলো বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। আসামিদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাফিজুর রহমান আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মুখপোড়া হনুমানগুলো আলী কদম থেকে সংগ্রহ করে পরে কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। কক্সবাজারের শাপলাপুর এলাকা থেকে তা নিয়ে ঢাকায় অন্য একটি দলের কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল আটকৃতদের। বর্তমানে বন্যপ্রাণী পাচারকারীরা কক্সবাজার ও বান্দরবানের গভীর জঙ্গল থেকে বিভিন্ন বিরল ও বিলুপ্ত বন্যপ্রাণী সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম থেকে সাতক্ষীরা ও যশোর জেলা হয়ে ভারতে পাচার করছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে আটককৃতরা আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। উল্লেখিত চক্রকে গ্রেপ্তারে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে অভিযান অব্যাহত রাখছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d