চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

চট্টগ্রামে বন্দর থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল জসিমের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে নগরের বেপারীপাড়া আব্দুল্লাহ কনভেনশন সেন্টার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

কনস্টেবল জসিম জানান, থানা থেকে বাসায় ফেরার পথে বেপারীপাড়া এলাকায় তিন-চারজন গাড়ির সামনে গিয়ে আমাকে থামিয়ে জিজ্ঞেস করে, আপনি কি পুলিশ? এরপর আমি কিছু বলার আগেই ১০ থেকে ১৫ জন লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, মারধরের একপর্যায়ে দুজন এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরে তারা সেনাবাহিনীকে ফোন করে। সেনাবাহিনী আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে।

বন্দর থানার ওসি মনজুর কাদের মজুমদার নিশ্চিত করেছেন যে তাদের এক পুলিশ সদস্য বাসায় ফেরার পথে হামলার শিকার হয়েছেন। তিনি জানান, প্রায় ১০-১৫ জন ব্যক্তি লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেছে।

ডবলমুরিং থানার ওসি ফজলুল কাদের পাটোয়ারীও একই ঘটনার কথা শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম হামলার ঘটনাটি সত্য বলে নিশ্চিত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন। এ ধরনের ঘটনা যেখানে ঘটেছে, সেখানে সেনাবাহিনী ও র‍্যাব দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও তিনি জানান।

পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নিরাপত্তায় কিছুটা ঘাটতি আছে, তবে তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।

এর আগে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। এরপর বিকালে নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি, ক্যাম্প ও পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র-গোলাবারুদ লুটের ঘটনা ঘটে। থানার সামনে রাখা পুলিশের যানবাহনও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এসব ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগরের থানাগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিএমপির কোতোয়ালী, পতেঙ্গা, ইপিজেড, বন্দর, পাহাড়তলি, আকবরশাহ ও সদরঘাট থানায় অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং অন্যান্য থানাগুলোতে ভাঙচুর চালানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d