চট্টগ্রামে লাগামহীন বাজারে বিপাকে ক্রেতারা
মাসখানেক আগে বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচের দাম এখনো কমেনি। বিপরীতে এ সপ্তাহে ফের বেড়েছে টমেটো আর গাজরের দামও।
কাঁচাবাজারের সব পণ্যে এখন দাম বাড়লেই সেটি আর কমছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বহদ্দারহাট, চকবাজার, কাজীর দেউড়ি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচের দাম কমছে না। এদিকে বেড়েই চলেছে অন্য নিত্য পণ্যের দামও। বাজারে টমেটো কেজি প্রতি ১৮০-২০০ টাকা, বরবটি ১০০-১১০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২২০-২৫০, গাজর ২০০-২১০, শসা ১০০-১১০, বেগুন ১০০-১১০ ও পটল ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ঝাঁঝ বেড়েছে পেঁয়াজেরও। গত সপ্তাহেও যে পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকায় তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়। এছাড়াও আলু ৬০-৭০, আদা ৩২০, রসুন ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, কখনো বৃষ্টি, কখনো গরম, কখনো আন্দোলন আবার কখনো সড়কে চাঁদাবাজির অজুহাতেই দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়েই যাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। দেখার যেন কেউ নেই।
তারা বলছেন, আমাদের আয় তো বাড়ছে না কিন্তু প্রতিনিয়ত সব কিছুর দামই বেড়ে চলছে। এমনি চলতে থাকলে সব পণ্যই ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাবে। সরকারের উচিত এখনই দামের লাগাম টেনে ধরা।
রহিম উল্লাহ নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, যেভাবে সব কিছুরই দাম বাড়ছে তাতে করে পরিবার নিয়ে শহরে বসবাস করা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজার সিন্ডিকেট করে সব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এক দোকানে যে দামে বিক্রি হচ্ছে সব দোকানেই সে দামে বিক্রি করা হচ্ছে। পণ্যের নির্দিষ্ট দামের চেয়ে ২০ টাকা ৩০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০-৭৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৬০-২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১২০০-১২৫০ টাকা ও প্রতি ডজন ডিম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়া মাছের বাজারে প্রতিকেজি তেলাপিয়া ২০০-২৩০ টাকা ও চাষের পাঙাশ ২০০-২৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬৫০ টাকা ও চাষের কৈ ৩০০-৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সবজির ক্ষেত। তার মধ্যে আবার ছাত্র আন্দোলনের ফলে ব্যাহত হচ্ছে পরিবহন ব্যবস্থা। যারকারণে সরবরাহ কম হওয়ায় বাড়ছে দাম। তারপরেও আমরা আমরা চেষ্ট করছি কম দামে পণ্য বিক্রি করতে। আমাদেরও তো বাঁচতে হবে।