চট্টগ্রামে দুদকের জালে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অবসরে যাওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক এমরান হোসেন।
অবসরে যাওয়া ওই পুলিশ পরিদর্শকের নাম শাহ আলম (৫৯)। বর্তমানে তিনি নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকায় বসবাস করেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডিআইও-১ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দুদকের মামলায় তার বিরুদ্ধে এক কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৭২১ টাকা আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চট্টগ্রাম দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুস সাদাত বলেন, ‘শাহ আলম তার আয়ের বা সম্পদের যে হিসেব দেখিয়েছেন, সেখানে এক কোটি সাত লাখ টাকার মতো অর্থের উৎস আমরা কোথাও খুঁজে পাইনি। তিনিও দিতে পারেননি। দুই টাকা আয় হলে দুই টাকাই হিসেব থাকা উচিৎ। কিন্তু পাঁচ টাকার হিসেবে তিন টাকা কোত্থেকে এলো সেই তথ্য না থাকলে তো সেটা জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত। তাই অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ ভোগদখল করার প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দুদক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’
মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শাহ আলম নিজ নামে ৭১ লাখ ৫ হাজার ৬৫০ টাকার স্থাবর সম্পদ, ১ কোটি ২৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩০৪ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন এবং ১৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ঋণ থাকার ঘোষণা প্রদান করেন। সেখানে তিনি ১ কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৭২১ টাকার মূল্যের সম্পদ কম দেখিয়েছেন, যা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই মো. শাহ আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।