চট্টগ্রাম ও ঢাকায় খেলা হবে: ওবায়দুল কাদের
চট্টগ্রাম: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খেলা হবে। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
অস্ত্র পাচারকারী, সন্ত্রাস আর জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সামনে জানুয়ারিতে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে হবে।
সবাই প্রস্তুত থাকুন।শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে আনোয়ারার কেইপিজেড মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আল্লাহ আমাদের দুটি নেয়ামত দান করেছেন। একজন বঙ্গবন্ধু, অন্যজন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দেশ যতদিন থাকবে, এ দুজন মানুষ বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে। কারণ দেশের জন্য তারা নিজেদের জীবনের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে গেছেন, যাচ্ছেন। একাত্তরের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু এ ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু, পায়রা সেতুসহ একদিনে ১০০টি সেতু উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা। আপনারা এ সেতু ব্যবহার করেন। পদ্মা সেতু করার সময় কতই না ষড়যন্ত্র ও হাসাহাসি করেছিল তারা। কিন্তু এখন তারা এসব সেতু দিয়েই বাড়ি-ঘরে যায়। কিন্তু তাদের লজ্জা হয় না।
আজকের উন্নয়নের মহাযাত্রায় বিএনপি-জামায়াতের এ আন্দোলন কর্ণফুলিতে ভেসে যাবে। মাতারবাড়িতে কি বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে সেগুলো তাদের চোখে পড়ে না। তারা আছে শুধু মানুষের জানমালের ক্ষতি সাধনে।
তিনি বলেন, পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চাচ্ছে। আর এর নেতৃত্বে আছে চট্টগ্রামের খসরু। আছে ফখরুলরাও। যারা শয়তানদের নেতা। এত জ্বালা, টানেল দেখে জ্বালা। ভারতে হয়নি, নেপালে হয়নি, শ্রীলঙ্কায় হয়নি। হয়েছে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে? কে করেছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহত্তর চট্টগ্রামের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
এর আগে বক্তব্য দেন সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে কেইপিজেড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন প্রধান অতিথি দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা