চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ
দেশে ডলারসংকটের কারণে পণ্য আমদানি কম হলেও ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে চট্টগ্রাম কাস্টমসের ছয় মাসে সার্বিক রাজস্ব আদায় বেড়েছে দুই হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধির হার ৯.৮৯ শতাংশ। কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুরনো বিরোধ নিষ্পত্তি, চোরাচালান, জালিয়াতি এবং শুল্ক ফাঁকি রোধে নানামুখী উদ্যোগের কারণে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশই হয়ে থাকে প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা পণ্যের শুল্কায়ন হয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মাধ্যমে। এ ছাড়া মোংলা বন্দর, পায়রা বন্দর, ঢাকা বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়েও পণ্য আমদানি হয়। এসব পণ্য খালাস হয় বন্দর সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউসের কিংবা শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে।
বিশেষ করে বিলাসী পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি ছিল বেশি। তবে মে মাস থেকে গতি আসে রাজস্ব আদায়ে। বছরের শেষ পর্যন্ত এই ঊর্ধ্বমুখী গতি বজায় ছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর) ছয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩০ হাজার ১৭১.১৩ কোটি টাকা।
আর একই সময়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৩ হাজার ১৫৫.৩৮ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের তুলনায় ছয় মাসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে দুই হাজার ৯৮৪.২৫ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধির হার ৯.৮৯ শতাংশ। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আদায় কম হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা।
এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৩ হাজার ১৫৫.৩৮ কোটি টাকা। ঘাটতি ১৪.১৭ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩০ হাজার ১৭১.১৩ কোটি টাকা। আর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। ঘাটতি ছিল ছয় হাজার ৩৮৮.১৩ কোটি টাকা। ঘাটতি শতকরা হিসাবে ১৭.৮৩ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। কিন্তু এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৭ হাজার ২৮৪.৩৯ কোটি টাকা। ঘাটতি ছিল ১৩.৫৭ শতাংশ।