চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের ডাইনিং বন্ধ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
লোকবলের অভাব দেখিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের ডাইনিং আজ সোমবার দুপুর থেকে বন্ধ করে দিয়েছেন কর্মচারীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
কর্মচারীদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় ডাইনিংয়ের কাজ ঠিকমতো করতে পারছেন না তারা। এর ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে নানা সময় অভিযোগ করছে। তাই বাধ্য হয়ে ডাইনিং বন্ধ রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত লোকবল না দেওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
এই হলে আসন রয়েছে ২৫৮টি। তবে অন্তত ৩৫০ শিক্ষার্থী হলটি থেকে আবাসিক সুবিধা ভোগ করেন। ডাইনিং বন্ধ থাকায় এসব শিক্ষার্থীকে এখন ভরসা করতে হচ্ছে ক্যানটিন অথবা রেস্তোরাঁর ওপর।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আলাওল হলের ডাইনিংয়ের কর্মচারী ১৭ জন। তবে সম্প্রতি এই ডাইনিংয়ের তিনজনকে বিভিন্ন কার্যালয়ে বদলি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একজন অবসরে গেছেন। তাই বর্তমানে ১৩ জন ডাইনিং পরিচালনা করছেন।
কর্মচারীদের অভিযোগ, ১৩ জনে ডাইনিং পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সব কর্মচারীরই দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। সবার পক্ষে রান্নার হাঁড়ি ও প্লেট ধোয়া, রান্না করা, বাজার করাসহ সব কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
জানতে চাইলে আলওল হলের ডাইনিংয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, কর্মচারীর অভাবে শিক্ষার্থীদের পুরোপুরি সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা কর্মচারীদের ওপর চড়াও হন। এসব দিক বিবেচনায় তারা ডাইনিং বন্ধ রেখেছেন। পর্যাপ্ত কর্মচারী দেওয়া হলে ডাইনিং চালু করা হবে।
হঠাৎ ডাইনিং বন্ধের সিদ্ধান্তে ভোগান্তি পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। জানতে চাইলে আলাওল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘ডাইনিংয়ে খাবারের দাম রাখা হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে হোটেল কিংবা ক্যানটিনে ৪০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত খাবারের দাম রাখা হয়ে থাকে। কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে আজ হোটেল থেকে বাড়তি দামে দুপুরের খাবার খেয়েছি।’
আলাওল হলে বর্তমানে কোনো প্রাধ্যক্ষ নেই। আবাসিক শিক্ষকেরাই হলটি পরিচালনা করছেন। জানতে চাইলে আবাসিক শিক্ষক মো. সেলিমুল হক বলেন, তারা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন। একই কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক অহিদুল আলম।