চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের তিন পদ শূন্য বছরজুড়ে
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য। প্রায় দেড় বছর ধরে এসব পদে কাউকে পদায়ন করা হয়নি। ফলে বোর্ডের নিয়মিত কার্যক্রমে ধীরগতির সৃষ্টির পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে।
শূন্য পদগুলোর মধ্যে রয়েছে— সংস্থাপন শাখার সহকারী সচিব ও সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তা এবং হিসাব শাখার অডিট অফিসার।
বোর্ড সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ এসকল পদে জনবল না থাকায় নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনায় বেগ পেতে হচ্ছে। এরমধ্যে হিসাব শাখার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও অডিট অফিসার পদ দুটি ভাইটাল (মূল) পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি পদে কর্মকর্তা না থাকায় আর্থিক সংক্রান্ত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষাবোর্ড অনেকটা বেকায়দায়। এর বাইরে সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তার পদ দুটি সংস্থাপন শাখার। সবমিলিয়ে সংস্থাপন শাখার কার্যক্রম নিয়েও দুশ্চিন্তায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শূন্য পদগুলোর মধ্যে রয়েছে সংস্থাপন শাখার সহকারী সচিব ও সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তা এবং হিসাব শাখার অডিট অফিসার। এর মাঝে হিসাব শাখার গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদের (হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও অডিট অফিসার) মধ্যে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের প্রভাষক জিকো দত্তকে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত শূন্য রয়েছে অডিট অফিসার পদটি। এর বাইরে সংস্থাপন শাখার সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তার পদটি শূন্য প্রায় দুই বছর। সর্বশেষ এ পদে কর্মরত ছিলেন ড. শুক্লা রক্ষিত। গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি অবসরোত্তর (পিআরএল) ছুটিতে যান। এরপর থেকে প্রায় দুই বছর ধরে পদটি শূন্য রয়েছে।
এদিকে, গত বছরের ৪ আগস্ট বদলি হওয়া একযোগে পাঁচজনের একজন ছিলেন সহকারী সচিব মো. সাইফুদ্দিন। ওই পদে সরকারি হাজী এ বি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক বিধান দত্তকে পদায়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে যোগদানের দুই মাসের মধ্যে ওই কর্মকর্তা শিক্ষাছুটিতে বিদেশ চলে যান। এরপর থেকেই সহকারী সচিবের পদটিও শূন্য। সংস্থাপন শাখার এ পদ শূন্য রয়েছে প্রায় দেড় বছর ধরে।
শিক্ষাবোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ দুটি শাখা হচ্ছে সংস্থাপন ও হিসাব শাখা। সেখানেই কয়েক বছর ধরে চারজন কর্মকর্তা ছিল না। এমনিতেই আমরা জনবল সংকটে আছি। তার উপর প্রথম সারির এসব পদে জনবল না থাকায় দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। তিনজনের কাজ একজনকে করতে হচ্ছে। যার কারণে কাজের মানও খুব একটা ভালো হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে হিসাব শাখায় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আরেক পদে কাউকে পদায়ন করা হয়নি। সংস্থাপন শাখায় দুইজন নাই তাও অনেকদিন হয়ে গেছে। তিনজনের কাজ একজনকে দিয়ে কিভাবে সম্ভব!’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তফা কামরুল আখতার বলেন, একযোগে পাঁচজন বদলি হওয়ার পর কিছুদিন সমস্যা হলেও এসকল শাখায় যেসকল কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। হিসাব শাখায় একজন উপপরিচালক আছেন উনার নেতৃত্বেই কাজ চলছে। শূন্যপদে লোকবল না থাকার কারণে আমাদের নিয়মিত কাজে খুব একটা প্রভাব পড়েনি। ধীরগতির ব্যাপারটি মেনে নিতে পারছি না। যে পদগুলো শূন্য রয়েছে সে পদে লোকবল থাকলে ভালো হতো।