চট্টগ্রামরাজনীতি

চট্টলবীরের সন্তানই কি সৌভাগ্যের ‘বরপুত্র’

চট্টলবীরের সন্তানই কি সৌভাগ্যের ‘বরপুত্র’

চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে মিশেছে চট্টগ্রাম-৮ ও ১০ আসনের সীমারেখা। দুই আসনের প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে পুরো এলাকা, দেখা গেলো ভোটের উৎসব।

গন্তব্য চট্টগ্রাম-৯ (বাকলিয়া-কোতোয়ালী) আসন। যেটিকে চট্টগ্রামের ভিআইপি বা মর্যাদাপূর্ণ আসন বলা হয়। কেউ কেউ ‘সৌভাগ্যে’র আসনও বলেন। কারণ এই আসন থেকে যে দলের প্রার্থী জয়ী হয়, সেই দল রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। তাই সকলের নজর থাকে সৌভাগ্যের এই আসন নিয়ে।

বহদ্দারহাট মোড় থেকে ট্যাক্সিযোগে শাহ আমানত সেতু গোলচত্বর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে চোখ আটকে যায়। রাস্তা বা অলিগলিতে পোস্টার-ব্যানারের আধিক্য নেই। কালামিয়া বাজার, বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় নৌকা প্রতীকের কিছু পোস্টার-ব্যানার চোখে পড়ে।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার খ্যাত শাহ আমানত সেতু এলাকায়ও একই দৃশ্য দেখা গেলো। তবে নৌকার পোস্টার-ব্যানারের ফাঁকে ফাঁকে ন্যাপের মিটল দাশগুপ্তের কুঁড়েঘর, ওয়াহেদ মুরাদের চেয়ার ও তৃণমূল বিএনপির সুজিত সরকারের সোনালী আঁশ প্রতীকের পোস্টার চোখে পড়ে।

গোলচত্বর এলাকায় কথা হয় পানের দোকানি কামাল উদ্দিন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. মাসুদ, দুই ট্যাক্সিচালক হেলাল ও আবু রেজার সঙ্গে। তাদের কাছে জানতে চাইলাম, ‘ভোটের পরিবেশ কেমন মনে হচ্ছে?’ আমতা আমতা করে উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘পরিবেশ তো আপনি দেখতে পারছেন।’ ‘কারা ভোটে দাঁড়িয়েছেন’- এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী নওফেলের পোস্টার-ব্যানার, মাইকিং ও প্রচার-প্রচারণা চলছে। অন্য প্রার্থীদের তেমনটা দেখা যায়নি।’

দেশের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আছাদগঞ্জেও একই দৃশ্য চোখে পড়ে। ব্যবসায়ী, শ্রমিক-কর্মচারী ও দোকানিরা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। ভোটের প্রতি যেন বড় ধরনের আগ্রহ নেই। বহদ্দারহাট থেকে খাতুনগঞ্জ ঘুরে শুধু ভোটের আমেজ দেখা যায় ৩৫নং বক্সিরহাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। ওই ওয়ার্ডের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী ভোট নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ভোটকেন্দ্রভিত্তিক কমিটি, মিছিল, প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগের শলা-পরামর্শ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d