চন্দনাইশে কৃষিজমির মাটি কাটায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা, স্কেভেটর জব্দ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ফসলি জমির মাটি কাটার দায়ে এক ব্যক্তিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় জব্দ করা হয়েছে দুটি স্কেভেটর।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ হারলা ও কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব এলাহাবাদ এলাকায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিপ্লোমেসি চাকমা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
দণ্ডিত ওই ব্যক্তি হলেন মো. তুহিন। তিনি চন্দনাইশ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড হারলা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, ফসলি জমির মাটি কেটে পাচার হচ্ছে— এমন সংবাদ পেয়ে অভিযানে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা। চন্দনাইশ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ হারলায় মাটি কাটার সঙ্গে যুক্ত একজনকে আটক করে একটি স্কেভেটর জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় তাঁকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্কেভেটরটি সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। নইলে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
এ ছাড়া কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নে চালানো আরেকটি অভিযানে মাটি কাটার সঙ্গে যুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে একটি স্কেভেটর জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা বলেন, ‘প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বালু ও মাটি উত্তোলন করে আসছে তারা। যখন যেখানে খবর পাওয়া যাচ্ছে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আজ (শনিবার) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চালানো এক অভিযানে ফসলি জমির মাটি কাটার অপরাধে একজনকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে একটি স্কেভেটর।
তিনি আরও বলেন, কৃষি জমি সুরক্ষা ও অনাবাদি জমি আবাদের বিষয়ে জেলা প্রশাসক স্যারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সে মোতাবেক বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি কৃষি জমির টপসয়েল কর্তনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।