চট্টগ্রাম

চবিতে বাবুর্চিকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

রান্নার মসলার জন্য আবাসিক হলের এক বাবুর্চিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম  বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শাহ আমানত হলের জ্যেষ্ঠ আবাসিক শিক্ষক দিদারুল আলম চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট নির্মল কুমার সাহা বলেন, মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলে এ ঘটনা ঘটেছে। মারধরের শিকার ওই সহকারী বাবুর্চির নাম মোহাম্মদ আলী। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোর্শেদুল আলম।

ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আলী বলেন, ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা রান্না করার জন্য আদা, রসুন, পেঁয়াজ, মরিচসহ বিভিন্ন মসলা নিতে ডাইনিংয়ে এসেছিলেন। আগেও তারা মসলা নিয়েছেন। কিন্তু কখনোই টাকাপয়সা দেন না। এবারও তাদের চাহিদামতো মসলা দিয়েছি। তবে অনুরোধ করেছিলাম, পরেরবার যেন দোকান থেকে তারা মসলা কিনে নেন। জিনিসপত্রের যে দাম, এভাবে মসলা দিলে ডাইনিং চালাতে হিমশিম খেতে হয়।

মোহাম্মদ আলী আরও জানান, দোকান থেকে মসলা কিনে নেওয়ার কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগের দুই নেতা তাকে কিলঘুষি মারেন। শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় তিনটি লাথি দেন। ভবিষ্যতে আর কোনো দিন হলে ঢুকলে মারধর করা হবে বলেও হুমকি দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d