চমেকে দু’মাস পর সিটিস্ক্যান সেবা শুরু
টানা দুই মাস অকেজো থাকার পর অবশেষে সচল হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের একমাত্র সিটিস্ক্যান মেশিন।
গত শনিবার থেকে পুরোদমে রোগীদের সেবা প্রদান শুরু করা হয়। ফলে এখন থেকে চমেক হাসপাতালে সিটিস্ক্যান সেবা পুরোদমে গ্রহণ করতে পারবেন রোগীরা।
এর আগে গত ৪ আগস্ট ত্রুটি দেখা দেয়ায় চট্টগ্রামের বৃহৎ এ সরকারি হাসপাতালের একমাত্র সিটিস্ক্যান সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা এসে মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে যান। এরমধ্যে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে মেশিনটি সচল করতে সক্ষম হন প্রকৌশলীরা। সেদিন দু’জন রোগীর সিটিস্ক্যান পরীক্ষাও করা হয়। পরদিন থেকে পুরোদমে ফের কাজ শুরু করা হয়। তার আগেও গত ৬ জুন ত্রুটি দেখা যায় সিটিস্ক্যান মেশিনের। সেই দিন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ১৯ দিন সেবা বন্ধ থাকে। চলতি বছরে শেষ চার মাসে দুই বার ত্রুটি দেখা দেয় মেশিনটি।
চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গড়ে ৩০ থেকে ৫০ জনের সিটিস্ক্যান সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। পরীক্ষা ভেদে মাত্র ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায় এ সেবা গ্রহণ করতে পারেন সাধারণ রোগীরা। যা বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ল্যাবে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় করতে হয় রোগীদের। এতদিন মেশিনটি বন্ধ থাকায় বেসরকারি ল্যাবগুলোতেও ছুটতে হতো রোগীদের। তবে দীর্ঘদিন পর ফের চালু হওয়ায় রোগীদের সেবা আরও সহজ হবে।
জানা যায়, ২০১৯ সালের মার্চের দিকে চমেক হাসপাতালের তৃতীয় তলায় অবস্থিত রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগে স্থাপন করা হয় প্রায় সাত কোটি টাকা মূল্যের সিটিস্ক্যান মেশিনটি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান পূর্বকোণকে বলেন, ‘সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা সিটিস্ক্যান মেশিনটি সচল করেছেন। ফলে এখন থেকে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন রোগীরা।’