চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগেই হবে অস্ত্রোপচার
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে চালু করা হয়েছে পূর্ণাঙ্গ ট্রমা অস্ত্রোপচার কক্ষ। এরফলে এখন থেকে সড়ক দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে যেকোন ধরণের দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের জরুরিভাবে খুব সহজেই অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে, হাসপাতালের ওয়ার্ডের চাপ কমার পাশাপাশি অস্ত্রোপচারের জন্য রোগীদের আর দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হবে না।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিদিন চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মাধ্যমে ক্যাজুয়ালটি বিভাগে ভর্তি হওয়া রোগীদের ২০ থেকে ২৫ জনের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। যাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অস্ত্রোপচারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে স্থানান্তর করেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। কিন্তু এ অস্ত্রোপচারের জন্য এতদিন রোগীদের অপেক্ষা করতে হত দিনের পর দিন। অনেক সময় মাসও পেরিয়ে যেত।
কর্তৃপক্ষ জানায়, রোগীদের সেবা নিশ্চিতে জরুরি বিভাগের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে নতুন অস্ত্রোপচার কক্ষ। যেখানে সার্জারি ও এনেস্থেসিয়া বিভাগের চিকিৎসকদের সহায়তায় সার্বক্ষণিক জরুরি অস্ত্রোপচার সেবা পাবেন রোগীরা। শনিবার ছুরিকাঘাতে আহত এক ব্যক্তির পেটের সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয় নতুন এ অস্ত্রোপচার কক্ষে। ফলে এখন থেকে চট্টগ্রামসহ আশাপাশের সকল জেলা থেকে আসা রোগীদের জরুরি অপারেশন মিলবে খুব স্বল্প সময়ে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, ‘হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগ প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১৮শ থেকে দুই হাজার রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হয়। যারমধ্যে গড়ে সাড়ে পাঁচশ থেকে ছয়শ রোগীর ক্ষেত্রেই তাৎক্ষণাৎ মেজর অপারেশন প্রয়োজন হয়। এতোদিন সার্জারি বিভাগের ওটিতে এসব অপারেশন করা হত। এখন থেকে যে কোন মেজর অপারেশন তৎক্ষণাৎ ক্যাজুয়াল্টি বিভাগেই সম্ভব হবে।
এদিকে, গতকাল বেলা ১১টায় ছুরিকাঘাতে আহত এক রোগীর তাৎক্ষণাৎ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নতুন এ অস্ত্রোপচার কক্ষ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান। এসময় সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো সাইফুল হক, এনেস্থেসিয়া বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হারুন-উর-রশিদ উপস্থিত ছিলেন। এদিন প্রথম অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করেন ক্যাজুয়ালটি বিভাগের প্রধান ডা. ঋভুরাজ চক্রবর্র্তীর নেতৃত্বে ক্যাজুয়ালটি বিভাগের চিকিৎসকগণ।