চট্টগ্রাম

চমেক হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ

নিজেদের রেফারেন্সের রোগীকে চিকিৎসা দিতে হওয়ায় হাসপাতালে দায়িত্বরত এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষানবিশ চিকিৎসক চমেক কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন এবং পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

রোববার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে দায়িত্বরত অবস্থায় শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মো. আকিল হায়দার জিদানকে মারধর করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন, মো. ফয়েজ উল্লাহ (২৫) ও অভিজিৎ দাশ (২৬)।

দুই জনই চমেক ৬০তম ব্যাচরে ছাত্র। এদের মধ্যে ফয়েজ চমেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও অভিজিৎ দাশ মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিন বছরে জন্য বহিস্কৃত।

থানায় জমা দেওয়া অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, চমেক হাসপাতালে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করার সময় ফয়েজ ও অভিজিৎ এসে তাদের এক রোগী দেখতে বলে। জিদান অন্য একজন রোগী দেখতে ব্যস্ত থাকায়, কিছুক্ষণ পর তাদের রোগী দেখবে বলে জানায়। তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে জিদানকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে বহিস্কৃত অভিজিৎ দাশ শার্টের কলার ধরে দেওয়ালের সাথে ধাক্কা দেয় এবং চড়থাপ্পড় দেয়। এ সময় তারা প্রাণনাশের হুমকিও দেন তাকে।

থানায় অভিযোগে বিষয়টি স্বীকার করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা। তিনি বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। আসল ঘটনা তা তদন্ত সাপেক্ষ জানা যাবে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আকিল হায়দার জিদান বলেন, আমাকে মারধর করা হয়েছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। থানায় ও চমেক অধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ জানিয়েছি।

তবে বিষয়টি হাস্যকর দাবি করেছেন অভিযুক্ত চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গাইনী ওয়ার্ডে আমার একজন রোগী ছিল। তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। যেহেতু শিক্ষানবিশ চিকিৎসক জিদান আমার বন্ধু তাই তার কাছে অনুরোধ করেছি। যাতে রোগীটি একটু সেবা পাই। কিন্তু সে উল্টো আমার সঙ্গে সিনক্রিয়েট করে। পরে ওই ওয়ার্ডে আমার আরেক বন্ধু ও বড়ভাইকে সাহায্য করার জন্য বলেছি। এখানে মারধর কিংবা কথা কাটাকাটির মত ঘটনা ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন, এখন চিকিৎসক হয়ে গেছি আমরা। কারো সঙ্গে মারামারি করা আমাদের শোভা পায় না। সে যদি এমন অভিযোগ করে থাকে তাহলে তা পুরোটাই মিথ্যা ও বানোয়াট।

অভিযুক্ত অভিজিৎ দাশ  বলেন, গতকাল রাতে গাইনী ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম। তবে মারধরের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি৷ পুরো বিষয়টি মিথ্যা। চাইলে হাসপাতালে সিসিটিভির ফুটেজ চেক করতে পারেন। ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের (ইচিপ) সাবেক দুই নেতার ইন্দনে জিদান আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d