চলে গেলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন)। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানা গেছে।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ২০০৭ সালে গঠিত ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
বিখ্যাত সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার সন্তান ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। পরে যুক্তরাজ্যে গিয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন মইনুল হোসেন। ১৯৬৫ সালে বার-এট-ল ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
এরপর দেশে ফিরে আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত হন মইনুল হোসেন। রাজনীতিতেও সক্রিয় হন। ১৯৭৩ সালে পিরোজপুর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী আনা হলে তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে সংসদীয় শাসন পদ্ধতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল এবং বহুদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে একদলীয় রাজনীতি প্রবর্তন করা হয়েছিল।
শেখ মুজিবুর রহমানের মুত্যুর পরে তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের পরিচালিত দল ডেমোক্র্যাটিক লীগে যোগ দেন। ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকারের পতন হওয়া পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন তিনি।
এছাড়া, ২০০০-২০০১ মেয়াদে সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। আর বাংলাদেশে সংবাদ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।