চাকসুর ভিপি-জিএসের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল
চট্টগ্রাম থেকে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। নতুন এই দলের নাম ‘প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম’। দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক নেতা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) ভিপি নাজিম উদ্দিন। মহাসচিব থাকছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট থেকে চাকসুর নির্বাচিত জিএস আজিম উদ্দিন। নতুন এই রাজনৈতিক দলে বিএনপির পদবঞ্চিত সাবেক নেতা-কর্মীরাই বেশির ভাগ রয়েছেন বলে নাজিম উদ্দিন দাবি করেছেন।
নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করার কথা জানিয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন আজ শনিবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, মানুষ এখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিকল্প খুঁজছে। কিছুদিন আগে একজন ভিপি নতুন রাজনৈতিক দল করার পর লোকজন একটু আশান্বিত ছিলেন। কিন্তু নানা কারণে বিতর্কিত হওয়ায় লোকজন এখন নতুন দল খুঁজছে। তাই সাবেক ছাত্রনেতাসহ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদদের নিয়ে নতুন দল ঘোষণা করা হচ্ছে।
আগামীকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এ রাজনৈতিক দল ঘোষণা করা হবে।
প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনের পর ঢাকায় কনভেনশন হবে নবগঠিত দলটির। সেখানে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ঘোষণা করা হবে। কমিটির বেশির ভাগ সদস্য বিএনপির সাবেক নেতা-কর্মী বলে জানালেন দলের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আরিফ মঈন উদ্দিন রয়েছেন তাঁর নতুন রাজনৈতিক দলে। আর বেশ কিছু চমক রয়েছে বলে তিনি জানান।
১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে জাতীয় ছাত্রলীগ থেকে ভিপি পদে নাজিম উদ্দিন এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট থেকে জিএস পদে আজিম উদ্দিন বিজয়ী হন। পরে নাজিম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আগের কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিতে তাঁকে কোনো পদে রাখা হয়নি। পদে না থাকলেও দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন। তবে গত ছয় মাস তাঁকে কোনো দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে দলের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা একটি নতুন ধারার রাজনীতি শুরু করতে চাই। বিশেষ করে যুবসমাজকে নিয়ে। সাবেক ছাত্রনেতাদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাব। বিশেষ করে বেকারদের কর্মসংস্থানে কাজ করবে নতুন এ দল। ১৯৯০ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যে ১০ দফা নিয়ে ছাত্রসমাজ কাজ করেছে, তা–ও বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবে নতুন এই দল।’
নতুন এই দলের মূলনীতি হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা, সংবিধান সমুন্নত রাখা, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অক্ষুণ্ন রাখা।