চাটগাঁর ‘মেহমানখানা’ ফিলিস্তিনেও
চাটগাঁর ‘মেহমানখানা’ ফিলিস্তিনেও। ফিলিস্তিনের খান ইউনিস ও রাফাহর পাঁচটি ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া প্রায় এক হাজার মানুষকে প্রতিদিন ইফতার বিতরণ করছে সংগঠনটি। ফান্ড থাকা সাপেক্ষে যা চলবে শেষ রমজান পর্যন্ত।
চট্টগ্রামের ছেলে প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন ‘আশ ফাউন্ডেশনে’র সভাপতি। এর অঙ্গসংগঠন আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় ‘মেহমানখানা’ পরিচালিত হচ্ছে। যেখানে রমজানে উন্মুক্ত মেহমানখানায় বিনামূল্যে ইফতার-সেহরির আয়োজন চলছে।
চট্টগ্রামের পর রোজাদারদের জন্য ইফতারের আয়োজন নিয়ে ‘মেহমানখানা’র কার্যক্রম এবার ফিলিস্তিনেও শুরু হলো। ফিলিস্তিনের স্থানীয় সংস্থাগুলো ‘আশ ফাউন্ডেশনে’র এই কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে। ‘মেহমানখানা’র পাশাপাশি গাজার শিশুদের জন্য একটি এতিমখানা স্থাপনের পরিকল্পনাও করছেন ‘আশ ফাউন্ডেশনে’র নেতারা। জানতে চাইলে ‘আশ ফাউন্ডেশনে’র সভাপতি প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন মিশর থেকে মুঠোফোনে পূর্বকোণকে বলেন, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত অসহায় মানুষকে আমরা ইফতার দিচ্ছি।
চট্টগ্রামে আমাদের পরিচালিত মেহমানখানার আদলে এই ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।
তিনি বলেন, শুধু চট্টগ্রাম বা ফিলিস্তিন নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগেও আমরা দুর্যোগবলিত সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। দেশের বাইরেও তুরস্ক, মরক্কো, মিশরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুস্থ মানুষের জন্য খাবার, পানিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য পাঠানো হয়েছে। দুস্থ মানুষের জন্য আমরা আমাদের সাধ্যানুযায়ী কাজ করে যাবো।