চাপের মুখে দাঁড়িয়ে শতরান পার বাংলাদেশের
বিপর্যয় আঁচ করা গিয়েছিল গতকাল বিকেলেই। ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন সকালে এসে সেই অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হলো না। দলীয় শতরান পার হওয়ার আগেই হারিয়েছে পাঁচ উইকেট। দিনের প্রথম সেশনে এখন পর্যন্ত মাহমুদুল হাসান জয় এবং শাহাদাত হোসেন দীপুকে ফিরিয়েছে লঙ্কান বোলাররা।
৩ উইকেটে ৩২ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলামকে নিয়ে শুরুটা করেছিলেন জয়। কিন্তু এই ওপেনার খুব একটা সুবিধা করতে পারলেন না। গতকাল সেকেন্ড স্লিপে দাঁড়িয়ে কামিন্দু মেন্ডিসের ক্যাচ ছেড়েছিলেন। আজ নিজেই ক্যাচ দিয়েছেন সেকেন্ড স্লিপে। ১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হলো তাকে।
শাহাদাত হোসেন দীপু এসেছিলেন এরপর। তাইজুলের সঙ্গে জুটি জমেছিল কিছুটা। ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দুজনেই চেয়েছেন রয়েসয়ে খেলতে। দুজনের এই জুটি যখনই আশা দেখাচ্ছিল, তখনই আক্রমণে আসেন লাহিরু কুমারা। আর তাতেই সাফল্য পায় লঙ্কানরা।
বাড়তি বাউন্সের বলটা বুঝে ওঠার আগেই দীপুর ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা নেন দিনের দ্বিতীয় ক্যাচ। ৮৩ রানে বাংলাদেশ হারায় ৫ম উইকেট। ব্যক্তিগত ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন দীপু।
তাইজুলকে সঙ্গ দিতে এরপর ক্রিজে এসেছেন অভিজ্ঞ লিটন কুমার দাস। দুজনে মিলে পার করেছেন বাংলাদেশের দলীয় শতরান। লিটন খেলছেন একেবারেই টেস্ট মেজাজে। আর টেলএন্ডার হয়েও উইকেট আগলে রেখেছেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু টাইগারদের এই জুটিও বেশিক্ষণ টেকেনি। লাহিরু কুমারার দুর্দান্ত ইনসুইং ভেঙে দেয় লিটনের প্রতিরোধ। দলীয় ১২৪ এবং ব্যক্তিগত ২৫ রানে ফেরেন লিটন।
শেষ পর্যন্ত ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে সেশন শেষ করেছে বাংলাদেশ।