চাপের মুখে পদত্যাগপত্র করেছে চসিক মেয়রের সহকারী
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী হোসেন আওরঙ্গজেব শিবলু চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের কাছে অব্যাহতি পত্র জমা দেন তিনি। বুধবার (১৪ আগস্ট) অব্যাহতির এ আবেদন গ্রহণ করা হয়। তবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জোর করে সাক্ষর আদায় করে চাপের মুখে পদত্যাগপত্র জমা করিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. রাসেল আহমেদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি সাড়া দেননি।
বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে তাঁর উপস্থিতিতে বিদ্যুৎ উপ-বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলনা দাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ঘেরাও করে আন্দোলনের সময় সড়কবাতি বন্ধ রাখার অভিযোগ তুলে প্রকৌশলী ঝুলন দাশের পদত্যাগ দাবি করেন।
মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী হোসেন আওরঙ্গজেব বলেন, ‘গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা জোর করে সই নিয়ে নেয়। আমি দিতে চাইনি। আমি ভিক্টিম। আমার তো কিছু করার ছিল না। আমি তো সিটি করপোরেশনের স্টাফ। মেয়র মহোদয়ের ব্যক্তিগত স্টাফ না। আমার ছোট ছোট বাচ্চা আছে। আমার উপর জুলুম করা হয়েছে।’
এদিকে, আজ বুধবার সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে চসিকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের বক্তব্যে বলা হয়, মেয়র মহোদয়ের একান্ত সহকারী হোসেন আওরঙ্গজেব শিবলু মঙ্গলবার চাকরি থেকে অব্যাহতির যে আবেদন করেছে তা গ্রহণ করা হয়েছে। ছাত্ররা লিখিতভাবে আরো কিছু দাবি জানিয়েছে সেগুলোও আমরা গ্রহণ করেছি।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তার হাতে লেখা চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদন পেয়েছি। সেটি আজ গ্রহণ করে আমরা মেয়র বরাবরে ফাইল পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের (কেন্দ্রীয়) সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসল আহমেদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাড়া দেননি।