লাইফস্টাইল

চিনি খাওয়া বন্ধ করলে শরীরে যা ঘটে

আমাদের প্রতিদিনের পানীয় থেকে শুরু করে নানা খাবারেই চিনি থাকে। অতিরিক্ত চিনি আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। আমাদের মধ্যে অনেকেই বেশি চিনি খান, যা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে। কিন্তু আপনি যদি খাদ্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে কী হবে? চিনি খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার পরে শরীরে কিছু পরিবর্তন ঘটে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ওজন কমানো সহজ হয়ে যায়

চিনি বাদ দিলে ওজন কমানো সহজ হতে পারে। ওবেসিটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে যে চিনি গ্রহণ কমিয়ে শরীরের ওজন কমানো এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করা যেতে পারে। আপনি যখন চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেন, তখন আপনার শরীর আর রক্তে শর্করার মাত্রায় ক্রমাগত স্পাইক এবং ক্র্যাশ অনুভব করে না। এটি আপনার ক্ষুধা স্থিতিশীল করে, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা সহজ করে তোলে।

শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পায়

আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে চিনি খাওয়া কমিয়ে দিলে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ক্লান্তি কমে যায়। তাই চিনি গ্রহণের পরিমাণ যতটা সম্ভব কমিয়ে আনাই উত্তম।

দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

অতিরিক্ত চিনি খেলে তা দাঁতে ক্ষয় এবং গহ্বরের সৃষ্টি করতে পারে। আপনার খাদ্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দিলে তা আপনার মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জন্য খাদ্য উৎস কমিয়ে দেবে। ব্রিটিশ ডেন্টাল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, চিনি খাওয়া কমিয়ে দিলে তা দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়।

পরিষ্কার ত্বক

অতিরিক্ত চিনির ব্যবহার ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ এবং অকাল বার্ধক্যের কারণ হতে পারে। আপনি যখন আপনার খাদ্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দেবেন, তখন আপনার ত্বক আরও বেশি পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর দেখতে পাবেন। JAMA ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, চিনি খাওয়া কমানোর ফলে ব্রণ দূর করা সহজ হয়।

দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়

অতিরিক্ত চিনি খেলে তা দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ক্রনিক রোগ যেমন টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে এই চিনি। আপনার খাদ্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দিয়ে এই গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারেন। সার্কুলেশন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, চিনি খাওয়া কমিয়ে দিলে তা কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে এবং সামগ্রিক হৃদরোগের উন্নতি করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d