চুরির অপবাদে হাত-পা বেঁধে মাদরাসাছাত্রকে নির্যাতন
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় চুরির অপবাদে এক মাদরাসাছাত্রের ওপর অমানবিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৬ মে) উপজেলার হাটফাজিলপুরে।
নির্যাতনের শিকার তাওহীদ হোসেন ওই মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ও রঘুনন্দনপুর গ্রামের মান্নান বিশ্বাসের ছেলে।
ভুক্তভোগী তাওহিদ জানায়, মাদরাসার পক্ষ থেকে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেই মাহফিলের জন্য উত্তোলনকৃত টাকা চুরি, হুজুরের ঘড়ি ও ভাত চুরির অপবাদ দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে বেত দিয়ে শিক্ষক মাহমুদ হাসান ও মাহাদী হাসান দুজন মিলে ঘণ্টাখানেক বেধড়ক মারধর করে। এরপর সে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ি চলে আসতে চাই। তখন শিক্ষকরা তাকে রুম থেকে বের হতে দেয় না এবং খাবার আনতে অন্যদেরকে পাঠায়। পরে মঙ্গলবার সে কৌশলে মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে আসে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই শিক্ষকরা মাদরাসার সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে মাদরাসার শিক্ষক মাহমুদ হাসান ও মাহাদী হাসানের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।
মাদরাসার সভাপতি মনোয়ার মোল্লা জানান, ওই ছাত্রের ওপর মারধরের ঘটনা শোনার পর আমি উভয়পক্ষকে ডেকে সমাধানের চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ওই মাদরাসাছাত্রের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।