চেঙ্গী নদীর ভাঙন, ঝুঁকিতে পানছড়ি সড়ক
সাম্প্রতিক পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে খাগড়াছড়ি–পানছড়ি আঞ্চলিক সড়ক। ভাঙন বাড়লে নদী গর্ভে হারিয়ে যাবে সড়কসহ কয়েকটি গ্রাম। বিচ্ছিন্ন হবে পানছড়ির সাথে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের যোগাযোগ। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নদীর ভাঙনে খাগড়াছড়ি–পানছড়ি সড়কের এটি বড় অংশ ইতিমধ্যে ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে জেলা সদরের দুই ইউনিয়ন ও পানছড়ি উপজেলা। চেঙ্গী নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে গাছবান উত্তর হেডম্যান পাড়া গ্রাম। এতে প্রায় শতাধিক পরিবার গৃহহীন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। সড়ক ও গ্রাম রক্ষার দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী।
সড়কে চলাচল করা ফারুক হোসেন, আলমগীর কবির ও জিনিয়া চাকমা বলেন, নদীর ভাঙন দীর্ঘ হলে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। পানছড়ি উপজেলার সাথে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। এছাড়া বিলীন হবে পার্শ্ববর্তী গ্রাম। ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সড়কের ভাঙনে রোধে অস্থায়ী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তবে নদীর ভাঙন রোধে নদীর শাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থায় নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনুরোধ করেছে সড়ক বিভাগ।
খাগড়াছড়ি উপ–সহকারী প্রকৌশলী প্রিয়দর্শী চাকমা বলেন, সড়ক বিভাগ রাস্তাটি সাময়িকভাবে রক্ষার জন্য তারা ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে ব্লক বসিয়ে রাস্তাটি স্থায়ীভাবে রক্ষা করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনুরোধ জানিয়েছি।
ইতোমধ্যে ভাঙন রোধে প্রকল্প চলছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড। জরুরি ভিত্তিতে টিউব বসিয়ে ভাঙন রোধে কাজ করা হবে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিন সংস্কার কাজ শেষ বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, এখানে ভাঙন রোধে প্রায় ৫শ মিটার নদী তীরের ব্লক বসানো হবে। আমরা জরুরি ভিত্তিতে টিউব বসাব। পরে ব্লকের কাজ করে সড়কটি নিরাপদ করা হবে।