চেয়ারের জন্য কত নিচে নামতে পারে নিপুণ দেখিয়েছেন: জায়েদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (২০২৪-২৬) মেয়াদের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট আবেদন করেন।
রিটে তিনি মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়ার পাশাপাশি তদন্ত চেয়েছেন। এবারে হাইকোর্টে নিপুণের রিট করার খবর পেয়ে চটেছেন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
বিষয়টি নিয়ে জায়েদ খান বলেন, সে ভোটের ফলাফল মেনে ফুলের মালা পরিয়ে বলেছিল সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। আর এক মাস না হতেই এখন তার মনে হচ্ছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। মানে যখন যা মনে হয় তাই করছে। চেয়ারের লোভে এমনটা করছেন নিপুণ। একজন মানুষ লোভে পড়ে, বেহায়া হয়ে, একটা মেয়ে যোগ্যতাহীনভাবে একটা চেয়ারকে ধরে রাখার জন্য কতটা নিচে নামতে পারেন সেটা উনি দেখিয়ে দিয়েছেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজলের কাছে ১৬ ভোটে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ। ভোটের ফলাফলও মেনে নিয়েছিলেন তিনি! এমনকি ফলাফল ঘোষণার সময় নব নির্বাচিতদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছিলেন।
হাইকোর্টে নিপুণের রিট প্রসঙ্গে জায়েদ খান আরও বলেন, এটি উনি আলোচনায় থাকার জন্য করেছেন। ওনার আলোচনায় আসা দরকার। পাশাপাশি কিছু লোক বুঝিয়েছেন। এ ধরনের নোংরা মনমানসিকতার শিল্পীকে সকল শিল্পী মিলে প্রতিহত করবেন। আইন বা রিটের বিষয়ে তো আমি কিছু বলতে পারব না, তবে নতুন কমিটিকে মালা পরিয়ে দিয়ে এখন আবার ভিন্ন কথা বলছেন। এটা দ্বৈতনীতি। এত জঘন্য শিল্পী হতে পারেন না।
নিপুণ বর্তমানে অবস্থান করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। বুধবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ অভিনেত্রীর দাবি, অনিয়মের অনেক প্রমাণই রয়েছে তার কাছে। নির্বাচন কমিশন বাতিল হওয়া ভোটের সংখ্যা সঠিকটি দেননি।
গেল ১৯ এপ্রিল (শুক্রবার) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণা হয় শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে। ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।