চৌধুরীকে ৭ তারিখ কাঁদতে হবে : মাহি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। যে আসনে তার বিপরীতে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী।
ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মাহি। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের একটি পথসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘চৌধুরী সাহেবের (ওমর ফারুক চৌধুরী) হয়তো অনেক টাকা আছে, কিন্তু তার মন নেই, দিল নেই। তিনি মানুষকে ভালোবাসতে জানেন না। সে আপনাদের সঙ্গে টং দোকানে বসে চা খেতে পারেন না। কারণ তার তো অনেক টাকা। তিনি এসি রুমে বসে থাকবেন। আর মানুষকে শাসন করবেন, ভয় দেখাবেন ও শোষণ করবেন।’
মাহি বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি কেন? কারণ হচ্ছে— আমি এই জমিদারি প্রথার অবসান চাই। এই স্বাধীন বাংলাদেশে জমিদারি প্রথার কোনো ভাত নেই। এই বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন থাকতে চায়। নিজের খেয়ে, নিজের পরে, নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। কাউকে ভয় পেয়ে বাঁচতে চায় না।’
সবাইকে নিজের ট্রাক প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাহি বলেন, ‘চৌধুরীকে ৭ তারিখ কাঁদতে হবে। কেন কাঁদবেন? কারণ তিনি সেদিন বুঝতে পারবেন, তানোর-গোদাগাড়ীর মেহনতি মানুষ, কৃষক–শিক্ষক তাকে ভালোবাসেন না। তিনি শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করান। শিক্ষককে মারেন। তিনি এত বড় জমিদার সাহেব হয়ে গেছেন। আমাদের শক্তি বেশি না, জমিদারের শক্তি বেশি? আমরা সবাই যদি একজোট হই, তা হলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারব। আমরা ৭ তারিখ এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করব।’
প্রসঙ্গত, এই আসনে একটানা তিনবারের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। এবারও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। ফলে চতূর্থ জয়ের জন্য রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন এই প্রার্থী।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সংগঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহিয়া মাহি। তবে দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন তিনি।