ছাত্রকে বলাৎকারের পর কোরআন ছুঁইয়ে শপথ করান শিক্ষক
ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের এক মাদরাসাছাত্রকে (১২) বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদরাসাশিক্ষক কামরুল ইসলামকে গণপিটুনি দিয়েছে অন্যান্য শিক্ষকসহ ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাথিয়ারা ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক কামরুল ফেনী সদর উপজেলার পশ্চিম ছনুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদরাসার শিক্ষক কামরুল ইসলাম এক ছাত্রকে বলাৎকার করেন। এই খবর জানাজানির পর মাদরাসা সুপার, মাদরাসা পরিচালনা কমিটি ও ওই ছেলের বাবা একত্রিত হয়ে মাদরাসার দ্বিতীয় তলায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকে রেখে মারধর করেন। পরে একটি স্ট্যাম্পে এ ধরনের কোনো কাজ করবেন না মর্মে লিখিত নিয়ে তাকে মাদরাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর আগেও এ মাদরাসায় বলাৎকারের ঘটনায় এক শিক্ষককে আটক করা হয়েছিল।
ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা বলেন, বলাৎকারের পর পবিত্র কোরআন ছুঁইয়ে আমার ছেলেকে শপথ করানো হয়, যাতে সে এ ঘটনা কাউকে না বলে। বিষয়টি নিয়ে আজকে বৈঠকে বসলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়।
তবে ঘটনাটি অস্বীকার করে মাদরাসা সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। পড়ালেখা না করায় ছাত্রকে মারধর করেছেন।
এ বিষয়ে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির একজন বলেন, ওই শিক্ষক ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো কাজ করবে না বলে লিখিত অঙ্গীকার দেওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্থানীয়দের থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে কেউ এখনো কোন লিখিত অভিযোগ করেনি।