ছেলের মরদেহ আনতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন মা
ছেলের মরদেহ আনতে গিয়ে মোটরসাইকেল ও অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে লাশ হয়ে ফিরলেন মা পুষ্প বেগম (৬৫)। এ দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলচালকও নিহত হয়েছেন।
রোববার (৩০ জুন) সকাল সাতটায় আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের ডাক্তারবাড়ি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ মরদেহ সুরতহাল করে থানায় এনেছে।
নিহত পুষ্প বেগমের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গণ্ডামারি গ্রামে। অন্যদিকে নিহত মোটরসাইকেলচালকের নাম রুবেল সিকদার (৩২)। আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা গ্রামের আনসার সিকদারের ছেলে তিনি।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছিলেন গণ্ডামারি গ্রামের আলম হাওলাদার। শনিবার (২৯ জুন) রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ছেলের লাশ নিয়ে মা পুষ্প বেগম পরদিন (রোববার) সকালে গ্রামের বাড়ি নিশানবাড়িয়া যাচ্ছিলেন। পথে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের ডাক্তারবাড়ি নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি খাদে পড়ে যায় এবং মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলচালক রুবেল সিকদার নিহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন খাদে পড়া অ্যাম্বুলেন্স থেকে মৃত ছেলে আলম হাওলাদার ও মা পুষ্প বেগমের লাশ উদ্ধার করেন। তিনটি লাশকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
নিহত পুষ্প বেগমের ভাই রহিম তালুকদার বলেন, আমার ভাগ্নের লাশ নিয়ে বোন পুষ্প বেগম বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মোটরসাইকেল ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স মুখোমুখি সংঘর্ষে আমার বোন মারা গেছেন। বোনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া আমার কাছে হস্তান্তরের দাবি জানাই।
নিহত মোটরসাইকেলচালক রুবেল সিকদারের স্বজন নাসিরউদ্দিন নশা মৃধা বলেন, আমতলী থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রুবেল নিহত হয়েছেন।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, নিহত দুইজনসহ তিনটি মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।