জটিল রোগের ঝুঁকি কমায় বাদাম
বাদাম সবার কাছে সুপরিচিত এবং পুষ্টিকর খাবার। যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য বাদাম একটি স্বাস্থ্য সম্মত খাবার। পুষ্টিগুন সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে বাদাম খেতেও বেশ দারুন। বাদামে প্রচুর খাদ্য আঁশ, উপকারী তেল, শর্করা, আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে। বাদামের প্রোটিন দেহ গঠনে ও মাংসপেশি তৈরিতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বাদাম খেলে নানারকম জটিল রোগের ঝুঁকি কমে যায়। কাঁচা বাদাম কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার ও হার্টের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। তাছাড়া বাদামের ভিটামিন-ই এবং ক্যারোটিন ত্বক ও চুল সুন্দর রাখে। বাদাম মস্তিষ্কে রক্ত চলাচাল বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া এতে উপস্থিত নিয়াসিন উপাদান আলঝেইমার রোগের প্রকোপ কমায়।
হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাদামের তেল শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। ফলে হার্ট এটাকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত পলিফেনোলিক এন্টি-অক্সিডেন্ট একাধিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। বিশেষ করে কোলোন ক্যান্সারের প্রকোপ কমাতে বেশ কার্যকরী। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। রাতে ১০-১৫ টি কাঁচা বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন-ই শরীরের হাড়গুলোকে শক্ত ও মজবুত করে ওজন কমায়। মানসিক অবসাদ এবং স্ট্রেস কমায়। গর্ভবতী নারীদের জন্য এই খাবারটি দারুন উপকারী। এতে উপস্থিত ফলিক এসিড গর্ভবতী মায়েদের শরীর সুস্থ রাখে। কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও ঠাণ্ডা, কাশি, মাথা ব্যথা, দুর্বলতা, খাওয়ার অরুচি, নিদ্রাহীনতা এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। তাই প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খেলে দূরে থাকবে বিভিন্ন রোগ।