জনবলের অভাবে চট্টগ্রামের সিআরবি হাসপাতালের করুণ দশা
চিকিৎসক-নার্স আর জনবলের অভাবে করুণ দশা চট্টগ্রামের সিআরবি রেলওয়ের হাসপাতালের। ফলে রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সার্জারি কিংবা ছোটবড় অসুখ— সব ধরনের চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে বাইরের হাসপাতালে।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা গেছে, মাকড়সার জাল ঘিরে ধরেছে হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষ। রোগীর আনাগোনা নেই। নেই চিকিৎসক। তবে দেখা মিলেছে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর। তাঁরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে জনবলের অভাবের কথা। চিকিৎসক-নার্স সংকটের কারণে কাঙ্খিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না রোগীদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১১০ শয্যার এই হাসপাতালে ৪টি সাধারণ কেবিন ও দুটি ভিআইপি কেবিন রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালটির জন্য ২২ জন চিকিৎসক ও ১৬ জন নার্স থাকার কথা। তবে প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ও বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা মিলিয়ে আছেন মাত্র ৮ জন। এর মধ্যে ৪ জন চিকিৎসক ও ৪ জন নার্স। এদের মধ্যে একজন ডেন্টাল সার্জন, অন্যজন গাইনি বিভাগের চিকিৎসক। নার্সদের মধ্যে বেশিরভাগ জুনিয়র।
হাসপাতালের প্রধান সহকারী জিয়াউর রহমান বলেন, ‘রেলের অনেক কর্মচারী কাটা-ছেঁড়া ও মাঝে মাঝে হাড়ভাঙ্গা নিয়ে আসেন হাসপাতালে। তবে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও সরঞ্জামের অভাবে তাদের অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিতে হয়। হাসপাতালে জনবলের সমস্যা, পানির সমস্যা প্রকট। এসব সমস্যা দায়িত্বপ্রাপ্তরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো সুরাহা হয় না।’
অপারেশন থিয়েটারটি যাতে নতুন করে চালু হয়; তা তিনি নিজেও চান জানিয়ে ডা. শিবু নাথ বলেন, ‘হাসপাতালে ২২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আমরা আছি মাত্র ৪ জন। রোগী না থাকায় চিকিৎসকরাও এই হাসপাতালে আসতে চান না! অপারেশন থিয়েটার চালু করতে হলে আগে আমাদের জনবল সংকট কাটাতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।’
তিনটি ডিজিটাল এক্সরে মেশিন বসানোর কথা জানিয়ে রেলওয়ে হাসপাতালের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘যার মাধ্যমে রেলের স্টাফরা বিনামূল্যে ১৬ ধরনের রক্তের পরীক্ষা করাতে পারবেন।’