জর্ডানকে হারিয়ে আবারও এশিয়ার সেরা কাতার
চমক দেখানো জর্ডান শেষ পর্যন্ত পারেনি রূপকথার গল্প লিখতে। বারবার মাশুল দিতে হয়েছে নিজেদের ভুলের।
আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আবারও এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখল কাতার। ঘরের মাঠে জর্ডানকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এশিয়ান কাপে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো তারা।
লুসাইল স্টেডিয়ামে কাতারের সবগুলো গোলই আসে আকরাম আফিফের পা থেকে। তার আগে কেউই এশিয়ান কাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিকের নজির গড়তে পারেনি। গোলগুলো অবশ্য পেনাল্টির মাধ্যমে করেন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ২২তম মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন তিনি। ডি বক্সের মধ্যে তাকে ফাউল করে বসেন জর্ডান ডিফেন্ডার আব্দাল্লাহ নাসিব। রেফারিও পেনাল্টির বাঁশি বাজান সঙ্গে সঙ্গে। বল হাওয়ায় না ভাসিয়ে কোনাকুনি শটে জালের দেখা পান আফিফ।
প্রথমবারের মতো আসরের ফাইনালে খেলা জর্ডান সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে। কাতারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করে তারা। পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে সমতা আনে খেলায়। ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে ইহসান হাদ্দাদের পাস থেকে গোলটি করেন ইয়াজান আল নাইমাত।
সমতায় ফিরে অবশ্য খুব একটা লাভ হয়নি জর্ডানের। কেননা ছয় মিনিটের ব্যবধানে ফের কাতারকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয় তারা। বক্সের মধ্যে ইসমাইলকে বাধা দেন আল মারদি। কাতার পেনাল্টির আবেদন করলে ভিএআর চেকের পর রেফারি ঠিকই সেই সিদ্ধান্ত নেন। এবারও গোল করতে কোনো ভুল করেননি আফিফ। ম্যাচের যোগ করা সময়ে জর্ডানের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন তিনি। বক্সের মধ্যে তাকে ফেলে দেন জর্ডান গোলরক্ষক। নিয়তি আবারও সেই পেনাল্টি। ৮ গোল নিয়ে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা তো বটেই সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটিও বাগিয়ে নেন আফিফ।
অন্যদিকে রেফারির শেষ বাঁশি বাজার পর জর্ডান কান্নায় ভেঙে পড়ে। প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপার জন্য তাদের অপেক্ষার প্রহর যে আরও দীর্ঘায়িত হলো।