জাতিসংঘে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস, বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তার জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) আরব দেশগুলোর পক্ষে সাধারণ পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাবটি তোলে জর্ডান। এরপরই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। মানবিক কারণে যুদ্ধবিরতি পক্ষে ভোট দেন ১২০টির প্রতিনিধিরা। ভোটদানে বিরতি ছিল ৪৫টি দেশ। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ১৪টি দেশ।
সাধারণ পরিষদে তোলা উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে গাজায় অবিলম্বে একটি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সরবরাহ নিরাপদ করা, অঞ্চলটির উত্তরাংশের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার ব্যাপারে ইসরায়েলের নির্দেশ বাতিল করা, এই যুদ্ধে সব বেসামরিক জিম্মিকে মুক্ত করার কথা বলা হয়। তবে প্রস্তাবটিতে সরাসরি হামাসের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
ভোটের আগে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেন, ‘এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার অর্থ এই অর্থহীন যুদ্ধ, এই বুদ্ধিহীন হত্যাকাণ্ডকে অনুমোদন করা।’ অন্যদিকে, ইসরায়েল ভোটের এই ফলাফলকে ‘কলঙ্কজনক’ বলে নিন্দা করেছে।
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেছেন, ‘যুদ্ধবিরতি মানে হামাসকে আবার অস্ত্রে সুসজ্জিত হওয়ার জন্য সময় করে দেওয়া। এই ভোটের উদ্দেশ্য শান্তি আনা নয়, এর অর্থ ইসরায়েলের হাত বেঁধে রাখা।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব মেনে চলার ব্যাপারে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সদস্য হওয়ায় গৃহীত প্রস্তাবগুলোর নৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের লাগাতার বোমা বর্ষণে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েছে উপত্যকাটি। মানবিক পরিস্থিতি বর্ণনার বাইরে। হামাস-ইসরায়েলি বাহিনীর এই লড়াই বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ব্যবস্থা না নিতে পারায় এবার প্রস্তাবটি পাশ হলো সাধারণ পরিষদে।