জাতিসংঘে শেখ রাসেল দিবস উদ্যাপন
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ছোট ছেলে শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিন স্মরণে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২৩’ উদ্যাপিত হয়েছে।
স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর শেখ রাসেলের জীবন বিষয়ক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানটিতে মূল বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতার বর্বরোচিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘শেখ রাসেলের জন্মদিন উদ্যাপনের এই মুহূর্তে দুটি অনুভূতি আমাকে তাড়িত করছে। প্রথমত, সেদিন মাত্র ১০ বছর বয়সের শেখ রাসেল, জাতির পিতা, বঙ্গমাতা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, এমন নৃশংসতা সারা পৃথিবীতে বিরল। দ্বিতীয়ত, যে শিশুর বাবার নেতৃত্বে একটি স্বাধীন দেশ জন্মলাভ করেছে, সেখানে আজ সেই শিশুটি নেই, কিন্তু আমরা আছি। এটা আমার মাঝে এক গভীর দুঃখবোধ ও গ্লানির জন্ম দিয়েছে। ’
স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, ১৫ আগস্টের খুনিদের কেউ কেউ এখনও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পালিয়ে আছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা এ সকল নৃশংস খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের আওতায় আনতে সকলকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করতে হবে।
শিশু শেখ রাসেলকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত।
এ প্রসঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনে হাজার হাজার শিশুকে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং সেখানে বসবাসরত শিশুদের অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। তারা আশা প্রকাশ করেন দেশ ও দেশের বাইরে শেখ রাসেল দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে দেশে ও প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোররা শেখ রাসেল সম্পর্কে আরও জানতে পারবে।
কেক কাটার মাধ্যমে শহীদ শেখ রাসেল এর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।